ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭৫তম জন্মদিন আজ

প্রকাশনার সময়: ১৩ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:৪২

কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭৫তম জন্মদিন আজ। প্রতি বছর এদিন রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রিয়জনদের নিয়ে জন্মদিনের কেক কাটতেন তিনি। সকাল হলে ভক্তরা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতেন প্রিয় লেখককে। দিনব্যাপী নানা আয়োজনে পালিত হতো তার জন্মদিন। এবারও নানা আয়োজনে উদযাপিত হবে দিনটি। ক্ষণজন্মা এ কথাশিল্পীর ২০১২ সালে জীবন কেড়ে নেয় ক্যানসার। মুগ্ধ পাঠকের হৃদয়ে তিনি বেঁচে থাকবেন তার রচনাবলিতে।

নুহাশপল্লীর ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম বুলবুল বলেন, হুমায়ুন স্যারের সবচেয়ে প্রিয় যায়গা ছিল নুহাশপল্লী। লেখালেখির জন্য এখানে আসতেন, নাটকের শুটিংয়ের জন্য আসতেন। বন্ধুদের নিয়ে এসে আড্ডা দিতেন। মাসে ৮-১০ বার নুহাশপল্লীতে আসতেন তিনি। তার হাতে লাগানো বৃক্ষ ও ঔষধি গাছগুলো এখনো রয়েছে।

লেখক ও সাংবাদিক ফারদিন ফেরদৌস বলেন, বাংলা সাহিত্যে জনপ্রিয়তার নিরিখে আমাদের সময়ে দ্বিতীয় একজন হুমায়ূন আহমেদ এখন পর্যন্ত পাইনি। তরুণ প্রজন্মকে পাঠকমুখী করবার সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব হুমায়ূন আহমেদের। তার নির্মিত টেলিভিশন নাটক ও চলচ্চিত্র বাংলা শিল্প সংস্কৃতির আলাদা সম্পদ। ১৯৭২ সালে প্রকাশিত হুমায়ূন আহমেদের প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ পাঠকমহলে খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ার পর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত উপন্যাস, ছোটগল্প, নাটক, চলচ্চিত্র পরিচালকসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছিলেন হুমায়ুন আহমেদ।

তার চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় ‘আগুনের পরশমণি’, ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’, ‘দুই দুয়ারী’, ‘চন্দ্রকথা’, ‘শ্যামল ছায়া’, ‘নয় নম্বর বিপদ সংকেত’, ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ দর্শকের মন জয় করছে। তার ধারাবাহিক টেলিভিশন নাটক ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘নক্ষত্রের রাত’, ‘অয়োময়’, ‘আজ রবিবার’, ‘নিমফুল’, ‘তারা তিনজন’ ‘মন্ত্রী মহোদয়ের আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’, ‘সবুজ সাথী’, ‘উড়ে যায় বকপঙ্খী’ এখনো মানুষকে সুস্থ বিনোদন দিয়ে চলছে।

১৯৪৮ সালের এই দিনে নেত্রকোনার কেন্দুয়ার কুতুবপুরে হুমায়ূন আহমেদের জন্ম। বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ ও মা আয়েশা ফয়েজ। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। তার এক ভাই কথাসাহিত্যিক মুহম্মদ জাফর ইকবাল। অন্য ভাই আহসান হাবীব কার্টুনিস্ট ও রম্যলেখক। হুমায়ূন আহমেদ তার দীর্ঘ চার দশকের সাহিত্যজীবনে উপহার দিয়েছেন সাড়া জাগানো সব উপন্যাস। তৈরি করেছেন হিমু, মিসির আলীর মতো জনপ্রিয় চরিত্র।

নির্মাতা হিসেবেও উপহার দিয়েছেন জনপ্রিয় নাটক এবং চলচ্চিত্র। বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি। তার মধ্যে একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, হুমায়ূন কাদির স্মৃতি পুরস্কার, লেখক শিবির পুরস্কার, মাইকেল মধুসূদন দত্ত পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও বাচসাস পুরস্কার উল্লেখযোগ্য।

নয়াশতাব্দী/আরজে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ