দুই কোটি ৫৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেন। কাউন্সিলর মো. শফিকুল ইসলামের আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ও জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ ‘পেয়েছে’ দুদক।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরিফ সাদেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মামলায় কাউন্সিলর শফিকের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ১৫ মার্চ দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে নিজের নামে ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৫৬ হাজার ৬৭৭ টাকার সম্পদের কথা উল্লেখ করেছিলেন কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম। এরমধ্যে ১১ লাখ ১২ হাজার ৭৫০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেন তিনি। এছাড়া তার ২ কোটি ৫৮ লাখ ২১ হাজার ৯৯০ টাকার অবৈধ সম্পদেরও প্রমাণ মিলেছে।
মো. শফিকুল ইসলাম নিজের নামে ২৯টি দলিলের মাধ্যমে মোট ৪ কোটি ৬৯ লাখ ৯৬ হাজার ১০৪ টাকার স্থাবর সম্পদ ও বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে ৭ কোটি ২৬ লাখ ৬০ হাজার ৫৭৩ টাকার অস্থাবর সম্পদের বিবরণ দেন। কিন্তু তিনি সেখানে ৭ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪৫ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ৩ লাখ ৬৩ হাজার ১০৫ টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন, অনুসন্ধানে এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছে দুদক।
এছাড়াও অনুসন্ধানে দুদক তার ব্যয় বাদ দিয়ে নিট সম্পদের পরিমাণ পেয়েছে ১০ কোটি ৯১ লাখ ৩২ হাজার ৭৭১ টাকা। যার মধ্যে ২ কোটি ৫৮ লাখ ২১ হাজার ৯৯০ টাকার সম্পদ অর্জনের বিপরীতে তিনি বৈধ আয়ের উৎস দেখাতে পারেননি; যা তার আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ও জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এই কারণে মামলায় দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে কাউন্সিলর মো. শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
এ প্রসঙ্গে জানতে কাউন্সিলর শফিকুল ইসলামের ফোনে কল করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
নয়াশতাব্দী/এমটি
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ