দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম যাত্রী হিসেবে রাজধানীর কাওলা থেকে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে আছেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টা ৪৪ মিনিটে রাজধানীর কাওলা থেকে এক্সপ্রেসওয়েতে যাত্রা শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন সংযোজন ‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’ উদ্বোধন করেন তিনি।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশের টোল ৮০ থেকে ৪০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ক্যাটাগরি ১-এর অধীনে যেকোনো স্থান থেকে বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশ অতিক্রম করার জন্য গাড়ি, ট্যাক্সি, জিপ, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকল, মাইক্রোবাস (১৬ আসনের নিচে) এবং হালকা ট্রাক (৩ টনের নিচে) টোল রেট ৮০ টাকা।
মাঝারি ট্রাকের জন্য (ছয় চাকা পর্যন্ত) যেকোনো পয়েন্ট থেকে রুট পার হওয়ার জন্য টোল রেট ক্যাটাগরি-২ এর অধীনে ৩২০ টাকা। ক্যাটাগরি ৩-এর অধীনে যেকোনো পয়েন্ট থেকে রুট পার হওয়ার জন্য ট্রাকের (ছয় চাকার বেশি) টোল রেট ৪০০ টাকা। যেকোনো পয়েন্ট থেকে রুট পার হওয়ার জন্য যেকোনো বাসের (১৬ সিট বা তার বেশি) টোল রেট ক্যাটাগরির-৪ এর অধীনে ১৬০ টাকা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাওলা, কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।
প্রাথমিকভাবে এক্সপ্রেসওয়েতে গতিসীমা হবে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার এবং এইচএসআইএ থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে যানবাহনের সময় লাগবে ১০ মিনিট। ১১.৫ কিলোমিটার মেইন লাইন এবং ১১ কিলোমিটার র্যাম্পসহ অংশটির দৈর্ঘ্য হবে ২২.৫ কিলোমিটার। প্রাথমিকভাবে এই অংশের ১৫টির মধ্যে ১৩টি র্যাম্প খোলা হবে। বনানী ও মহাখালীর র্যাম্প নির্মাণ শেষ হলেই খুলে দেওয়া হবে।
নয়াশতাব্দী/এমটি
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ