ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে যারা সমালোচনা করেছিল তারাই এখন সবচেয়ে বেশি সুবিধা নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) সকাল ১০টার পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা কক্ষে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’র প্রথম সভায় অংশ নিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশ কথাটি প্রথম সামনে আসে ২০০৮ সালে। ওই বছরের ১২ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ২০২১ সালে স্বাধীনতার ৫০ বছরে দেশকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশে’ করার কথা বলা হয়। এই পরিকল্পনার লক্ষ্য একটি জ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক দেশ গঠন করা।
কিন্তু বিরোধীদলসহ অনেকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ নিয়ে নানা ব্যঙ্গ করেন।
স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের সভায় প্রধানমন্ত্রী সেই বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর দেশকে ডিজিটাল করে। অথচ এ নিয়ে আমাদের ব্যঙ্গ করা হতো। যারা ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে ব্যঙ্গ করেছিল এখন তারাই নানা অপপ্রচারে এটির বেশি ব্যবহার করছে।
স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে সরকার কাজ করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশকে এগিয়ে নিয়ে সরকার কাজ করছে।’
বাংলাদেশ এখন অনেক উন্নত দেশ থেকেও এগিয়ে এমন মন্তব্য করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী কাজ করায় দেশের সবক্ষেত্রেই উন্নতি হচ্ছে।’
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নেয়া বিভিন্ন প্রযুক্তিগত উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দ্রুত ইন্টারনেট ব্যবহারে সাবমেরিন ক্যাবলের ব্যবস্থা করেছি। আমাদের প্রতিটি টেলিফোন ছিল অ্যানালগ। আমরাই প্রথম উদ্যোগ নিয়ে ডিজিটাল টেলিফোন চালু করি। আর মোবাইল ফোন ঢাকা আর চট্টগ্রাম ছাড়া কোথাও চলতো না। একটা মাত্র কোম্পানি ছিল, মোবাইলে কল করলে ১০ টাকা প্রতি মিনিট, ধরলেও ১০ টাকা প্রতি মিনিট। সেই জায়গা থেকে আমাদের প্রচেষ্টা ছিল মানুষের হাতে হাতে মোবাইল পৌঁছে দেয়া। আজকে কম খরচে কথা বলা, ইন্টারনেট চালাচ্ছে সবাই।’
‘আমরা অনেক পিছিয়ে ছিলাম। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর এখন দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের দেশের মানুষ প্রযুক্তি খুব দ্রুত ধারণ করতে পারে। এখন সবাই মোবাইল-ইন্টারনেট ব্যবহার করা শিখেছে। আমরা চাই সবাই প্রযুক্তিগত দিকে দক্ষ হয়ে উঠুক। আমরা গ্রাম পর্যায়ে, স্কুলে স্কুলে কম্পিউটার দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তি আমাদের অনেক সুযোগ করে দেয়। আমরা সেগুলো কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করতে করতে কায়িক শ্রমের কোনো দরকার পড়বে না। ড. শহীদুল্লাহ অনেক আগে একটি আর্টিকেলে লিখেছিলেন যে, একসময় মানুষের অবয়ব কেমন হবে। তিনি লিখেছিলেন বড় একটা মাথা থাকবে আর দুটি আঙ্গুল থাকবে বোতাম টেপার জন্য। তখন আমরা চিন্তা করতাম এসব কথা তিনি কোথায় পান। আজকে দেখছি তার কথাই সত্যি।’
এ সময় ডিজিটাল পেমেন্টের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা পরীক্ষামূলকভাবে বিভিন্ন বিল অনলাইনে দেয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম। এখন এটির সুফল ভোগ করছে জনগণ। আগের মতো আর সিরিয়াল দিয়ে কোথাও দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না। আমরা মানুষকে প্রস্তুত করেছি উন্নত প্রযুক্তিতে যাওয়ার।’
নয়াশতাব্দী/এমটি
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ