আগামী ২৯ জুন উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে অনেকেই রাজধানী ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন। ফলে ঢাকার বাসস্ট্যান্ড ও রেলওয়ে স্টেশনে ঘরমুখী মানুষের ভিড় দেখা গেছে।
শনিবার (২৪ জুন) দিনভর কমলাপুর রেলস্টেশনসহ ঢাকার বাস টার্মিনাল ও লঞ্চ টার্মিনালে যাত্রীদের অতিরিক্ত ভিড় বেড়েছে।
দেখা যায়, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে কিছুটা বিলম্বে ট্রেন ছাড়ায় প্ল্যাটফর্মে বসে সময় কাটাতে দেখা গেছে ঘরে ফেরার অপেক্ষায় থাকা যাত্রীদের। গত ঈদুল ফিতরে স্বস্তি নিয়ে বাড়িতে যাওয়া ও আসার মতো এবারও তারা স্তস্তি নিয়ে ফিরতে চান।
পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কমলাপুরে ট্রেনের অপেক্ষা করছিলেন সাইফুল ইসলাম নামের এক যাত্রী। তিনি বলেন, ‘পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়িতে যেতে হচ্ছে। তবে দুপুরে ট্রেনের একটু শিডিউল বিপর্যয় দেখা যায়। এরপর ঠিক হয়ে যায়। অনলাইনে শতভাগ ট্রেনের টিকিট করায় রেলপথে অনেকটাই স্বস্তি বলা যায়।’
সাব্বির আহমেদ নামের এক ট্রেনের যাত্রী বলেন, ‘ঈদের সময় ভিড় হবে, এমনটা ধারণা করেই এসেছি। এ সময় ট্রেন দেরিতে ছাড়ে এটি নতুন কিছু না। কষ্ট হলে হোক; ঈদের সময় আমাদের বাড়ি যেতে হবে। বাসে গেলে খরচ বেশি, সময়ও লাগে বেশি। এছাড়া এখন গরুর হাটের কারণে সড়কে জ্যাম লেগে যেতে পারে। অনলাইনে টিকেট পাইনি। দাঁড়িয়েই যাবো।’
জানতে চাইলে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, ‘আমরা ২৫% স্ট্যান্ডিং টিকিট কাউন্টার থেকে দিচ্ছি। অনলাইনে যারা টিকিট কেটেছেন, তাদের স্টেশনে প্রবেশে যেন কোনো অসুবিধা না হয়, সেজন্য এবার অন্য পাশে ১ থেকে ৬ নম্বর কাউন্টার থেকে এই টিকেটগুলো দিচ্ছি। স্ট্যান্ডিং টিকিটের চাপ কিছুটা কমই দেখা যাচ্ছে।’
এদিকে আজ শনিবার ভোর থেকেই রাজধানীর প্রধান নদীবন্দর সদরঘাটে নৌযাত্রীদের সরব উপস্থিতি দেখা গেছে। ঘাটে অতিরিক্ত ভিড় না থাকলেও কানায় কানায় পূর্ণ প্রতিটি লঞ্চ। বিকেল থেকে ঘাটে যাত্রীর চাপ বাড়তে থাকে। সব মিলিয়ে চিরচেনা রূপে ফিরেছে সদরঘাটও। গত ঈদের মতো এবারও সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ।
এছাড়া রাজধানীর কল্যানপুর, সায়েদাবাদ ও গাবতলী ও মহাখালী বাস টার্মিনালে ঘরমুখী যাত্রীদের অপেক্ষা করতে দেখা যায়। অধিকাংশই অগ্রিম টিকিট কেটেছেন। সঠিক সময়ে বাস না আসায় ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা।
গাবতলীতে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন উত্তরবঙ্গের যাত্রী মো. সিহাব। তিনি বলেন, ‘পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ির পথে রওনা হবো। কিন্তু, টার্মিনাল এসে দেখি বাস নেই। টিকিট কাটতে খুব বেশি একটা বিড়ম্বনা না হলেও বাসের জন্য অপেক্ষা করা খুবই কষ্টকর।’
তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর ঈদ আসলেই সড়কে স্বস্তির জায়গায় অস্বস্তি চলে আসে। এ বিষয়ে আগে থেকে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও খুব বেশি স্বস্তি দেখা যায় না। সড়কে যানজট থেকে শুরু করে ভোগান্তি চরমে থাকে। জানি না এবার স্বস্তি কেমন হবে।’
নয়াশতাব্দী/এমটি
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ