ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শুধু কীটনাশক নয় ডেঙ্গুকে সামাজিকভাবে প্রতিরোধ করতে হবে : মেয়র তাপস

প্রকাশনার সময়: ৩১ মে ২০২৩, ১৮:১৯ | আপডেট: ৩১ মে ২০২৩, ১৮:২৭

শুধু কীটনাশক প্রয়োগ করে নয়, ডেঙ্গু রোগ মোকাবেলায় সামাজিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার (৩১ মে) বাসাবো বৌদ্ধ মন্দির সংলগ্ন সংঘনায়ক শুদ্ধানন্দ সড়কের নামফলক উন্মোচন, সড়ক উদ্বোধন এবং বৌদ্ধ মন্দির সংলগ্ন এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গণ লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ডিএসসিসি মেয়র, ‘আসন্ন বর্ষা মৌসুমকে মাথায় নিয়ে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আমরা সচেতনতামূলক গণ লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম নিয়েছি। আমরা ঘরে ঘরে এই লিফলেট বিতরণ করতে চাই। এর মাধ্যমে ডেঙ্গুকে আমরা সামাজিকভাবে মোকাবেলা করতে চাই, প্রতিরোধ করতে চাই। কারণ শুধু কীটনাশক প্রয়োগ করে ডেঙ্গু রোগ মোকাবেলা করা সম্ভব না। এডিস মশার বিস্তার রোধ করা সম্ভব না।’

ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে ঢাকাবাসীকে সচেতন হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘আপনার বাসা-বাড়ি, স্থাপনার অভ্যন্তরে যে পানি জমে, থেমে থেমে বৃষ্টির ফলে যে পানি জমে, আগে আমরা বলতাম ৩ দিনে একদিন, জমা পানি ফেলে দিন। আমরা এখন বলছি, পারলে নিয়মিত প্রতিদিন, জমা পানি ফেলে দিন। কোথাও যদি আমরা পানি জমতে না দেই, তাহলে আমরা এই এডিস মশার বিস্তার রোধ করতে পারব। ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ করতে পারব।’

পর্যায়ক্রমে অন্যান্য সড়কগুলোকেও আরও উন্নত ও প্রশস্ত করার পরিকল্পনা জানিয়ে ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘এই সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। আপনারা দেখেছেন এটি দীর্ঘদিন জলাবদ্ধতায় নিমগ্ন ছিল। আমরা এ সড়কের সংস্কার কাজ হাতে নিয়েছিলাম এবং ড্যাপের পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা এই সড়কটি প্রশস্ত করেছি। এই এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা নর্দমা নির্মাণ করেছি, দু’পাশে হাঁটার পথের ব্যবস্থা করেছি। এটি বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বৌদ্ধ মন্দির এবং উপাসনালয়। আমরা এই মন্দিরের প্রয়াত সংঘনায়ক শুদ্ধানন্দের নামে আমরা এই সড়কটির নামকরণ করেছি। এই সড়কটি প্রশস্ত করার ফলে অত্র এলাকার মানুষ উপকার পাবেন। আমরা যে নকশা করেছি তা পরিপালন করে পর্যায়ক্রমে ঢাকা-৯ আসনের মুগদা সড়কসহ মূল সড়কগুলোকে আরও উন্নত করব। এর মাধ্যমে অত্র এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের পাশাপাশি আধুনিক সড়ক ব্যবস্থাপনাও নিশ্চিত হবে।’

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে দুই সিটি করপোরেশনেরই কীটনাশক কমিটি রয়েছে। কমিটিতে বিভিন্ন পর্যায়ের বিশেষজ্ঞবৃন্দ রয়েছেন। কমিটির বিশেষজ্ঞদের মতামত ও সুপারিশের ভিত্তিতে আমরা পুরো বছরের কীটনাশক আমদানি ও মজুত করেছি। এছাড়াও ২০২০ সালের পর হতে আমাদের কীটনাশকের মান নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই।’

অনুষ্ঠানে ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আগে এখানে সকাল-বিকাল ঘণ্টার পর ঘণ্টা মানুষ যানজটে থাকতো। এই সড়ক প্রশস্ত করার মাধ্যমে আমরা এই এলাকার মানুষকে যানজট হতে মুক্তি দিয়েছি।’

পরে ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের বিশুদ্ধানন্দ-শুদ্ধানন্দ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপসকে ‘নাগরিক সংবর্ধনা’ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন- ডিএসসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফি, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি ভদন্ত বুদ্ধপ্রিয় মহাথের, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. রানা দাশগুপ্ত, ডিএসসিসি সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, অঞ্চল-২ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সোয়ে মেন জো, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মাকসুদা শমসের প্রমুখ।

নয়াশতাব্দী/এমটি

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ