ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

সিকদার গ্রুপের এমডি রন ও দিপুকে অব্যাহতি দিতে সুপারিশ

প্রকাশনার সময়: ১১ আগস্ট ২০২১, ০০:২৮

এক্সিম ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি সিকদার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রন হক সিকদার ও তাঁর ভাই দিপু হক সিকদারকে অব্যাহতি দিতে সুপারিশ করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার আসামি রন হক সিকদারের আইনজীবী আবদুল আল মনসুর রিপন নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত ২৬ জুলাই আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান জোনাল টিমের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রিপন উদ্দিন।

পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মামলার বাদী ও বিবাদীর ভুল–বোঝাবুঝির কারণে এই মামলার উদ্ভব হয়েছে। পরে বাদী-বিবাদী নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে একটি সমঝোতা চুক্তি করেন। নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে আসামিদের অভিযুক্ত করার মতো যথেষ্ট প্রমাণাদিও পাওয়া যায়নি। মামলাটি ‘তথ্যগত ভুল মর্মে প্রতীয়মান হয়’ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। সমঝোতায় বাদী-বিবাদী বলেছেন, তদন্তের ফলাফল তাঁরা মেনে নেবে এবং পরবর্তীকালে তাঁরা এ বিষয়ে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেবেন না।

গত বছরের ১৯ মে এক্সিম ব্যাংকের এমডিসহ দুজনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে এক্সিম ব্যাংক কর্তৃপক্ষ গুলশান থানায় রন হক সিকদার ও তাঁর ভাই দিপু হক সিকদারের বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে, গত বছরের ৭ মে রন ও দিপু এক্সিম ব্যাংকের এমডি মুহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া ও অতিরিক্ত এমডি মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেনকে একটি অ্যাপার্টমেন্টে বন্দি করে রাখেন। তাঁদের গুলি করে হত্যার চেষ্টাও করা হয়।

বিবরণে আরও উল্লেখ করা হয়, পুরো ঘটনাটি ৫০০ কোটি টাকা ঋণ প্রস্তাব নিয়ে। এই ঋণের বিপরীতে বন্ধকি সম্পত্তি পরিদর্শনের নামে এক্সিম ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে ডেকে আনা হয়েছিল। এ সময় জামানত হিসেবে ওই সম্পত্তির বন্ধকি মূল্য কম উল্লেখ করেন ব্যাংকটির এমডি ও অতিরিক্ত এমডি। এর পরই গুলি ও মারধরের ঘটনা ঘটে।

রন হক সিকদার ও দিপু হক সিকদার ব্যাংকটির এমডির কাছে একটি সাদা কাগজে জোর করে স্বাক্ষরও নেন।

ঘটনার পর থেকে রন হক ও দিপু হক পলাতক হন। পরে নিজেদের চার্টার্ড বিমানে করে তাঁরা থাইল্যান্ডে পাড়ি দেন।

এরপর গত ১২ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রন হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তাঁকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আনা হলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম ১০ মার্চ পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন। পরে রন হকের জামিনের মেয়াদ বাড়ান আদালত।

নয়া শতাব্দী/এসইউ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ