টিকটকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় ও শতাধিক নারীর সাথে প্রতারণার অভিযোগের মামলায় কারাগারে থাকা ‘টিকটক রাজ’ ওরফে আব্দুর রাকিব ওরফে খোকনকে (২৬) আরও দুই মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং একই থানার পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় রাজকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলাম শুনানি শেষে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগের একই থানার মামলায় টিকটকার রাজকে গত বুধবার আদালতে হাজির করা হলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে মামলাটিতে আগামি ২২ নভেম্বর জামিন শুনানির তারিখ ধার্য করেন।
গত ১৫ নভেম্বর রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে টিকটক রাজ ওরফে আব্দুর রাকিব ওরফে খোকনকে (২৬) গ্রেপ্তার করে র্যাবের একটি দল। এ সময় তার কাছ থেকে র্যাবের ইউনিফর্ম, প্রতারণায় কাজে ব্যবহৃত মোবাইল, সিম ও বাঁশি জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় রাজের বিরুদ্ধে তিনটি পৃথক মামলা করেন র্যাব-২ এর নায়েব সুবেদার সামছুল আলম। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে একটি, পর্নোগ্রাফি আইনে আরেকটি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলায় বলা হয়, আসামি রাজ র্যাবের সদস্য পরিচয়ে শতাধিক নারীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক তৈরি, ছবি ও ভিডিও ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেলিং-অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। সে পেশায় একটি আবাসিক হোটেলের নিরাপত্তা কর্মী। কিন্তু র্যাবের পোশাক পরে নিজেকে র্যাব-৫ এ কর্মরত হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসছিলেন। গত দু-বছর ধরে সে টিকটক, ফেসবুক, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন মাধ্যমে র্যাবের পরিচয় দিতেন। টিকটকে রাজের ২ মিলিয়নের অধিক ভিউ এবং দেড় মিলিয়ন ফলোয়ার রয়েছে। নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান হয়েও নিজেকে উচ্চবিত্ত পরিচয় দিতেন রাজ। এই পরিচয় ফুটিয়ে তুলতে বিভিন্ন আলিশান বাড়ির সামনে ভিডিও তৈরি করতেন তিনি। বিভিন্ন মেয়েদের মধ্য থেকে যারা মূল্যবান অলংকার পরতেন বা অবস্থা সম্পন্ন মনে হতো তাদেরকে টার্গেট করতেন। পরে বিভিন্ন প্রলোভনে প্রলুব্ধ করে তাদের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে অলংকার ও অর্থ আত্মসাৎ করতেন।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ