ঘরে বসে অনলাইনে জুয়া খেলতেন স্বামী আর তার স্ত্রী করতেন টাকা লেনদেন। অনলাইনে জুয়া খেলার এসব সাইট পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ৯ সদস্যকে তিন জেলায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার।
আজ রোববার সিআইডি হেডকোয়ার্টার্সে আয়েজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি কামরুল আহসান।
তিনি জানান, সাইবার পুলিশ সেন্টারের নিয়মিত মনিটরিংকালে একটি অনলাইন বেটিং প্লাটফর্ম নজরে আসে। সেখানে অনলাইনে বেটিং বা জুয়া খেলা হয়।এই তথ্যের ওপরে ভিত্তি করে গতকাল শনিবার ৩ জেলায় অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাকৃতরা হলেন, মো. স্বপন মাহমুদ (২৭), মো. নাজমুল হক (২১), মো. আসলাম উদ্দিন (৩৫), মো. খুরশিদ আলম লিপু (২৫), মো.শিশির মোল্লা (২১), মো.মাহফুজুর রহমান ওরফে নবাব (২৬), মনিরা আক্তার মিলি (২৪), মো.সাদিক (২২) ও মো. মাসুম রানা (২০)।
অনলাইন জুয়া সম্পর্কে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি জানান, এই জুয়ার সাইটটি রাশিয়া থেকে পরিচালিত হয়। সেখানে একটি অ্যাকাউন্ট করার পরে সেখানে টি-টোয়েন্টি, আইপিএলসহ বিভিন্ন খেলার সময় জুয়া খেলা হয়। সেখানে থেকে যে জুয়ার টাকা আসে তা ব্যাংলাদেশের মোবাইল ব্যাংকিং ‘নগদ’ এর মাধ্যমে তুলে নেন জুয়ারীরা।
এই কাজে ব্যবহার করা নগদের এজেন্ট সিমসহ প্রথমে স্বপন ও খুরশিদ আলম লিপুকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই কাজে স্থানীয় নগদের বিক্রয় প্রতিনিধি (এসআর) ও ডিপো ম্যানেজারও সহায়তা করছিলেন তাদের।
সিআইডি জানায়, জুয়ার সঙ্গে জড়িত নবাব বাসা থেকে হতেন না। তার স্ত্রী মনিরা আক্তার মিলি টাকা সংগ্রহ, ব্যাংকে টাকা জমাসহ সব কাজ করতেন।
গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে সিআইডি জানায়, জুয়ার কাজে ব্যবহার করা প্রতিটি সিম সেখানকার নগদের এসআর মাধ্যমে ট্রানজেকশন করেন। জুয়ার সঙ্গে জড়িত এই এসআররা সরাসরি অবৈধ লেনদেনের সঙ্গে জড়িত এবং বিনিময়ে তারা প্রতিটি ট্রানজেকশন থেকে কমিশন পেতেন। অনেক সময় তাদের মধ্যে বিটুবির মাধ্যমে লেনদেন হলেও সরাসরি কখনো দেখা বা লেনদেন হতো না।
এই আসামিদের নগদের সিম কার্ড প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকা লেনদেন হতো বলেও জানিয়েছে সিআইডি।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ