দেশের কারাগারগুলোতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত বন্দি, কনডেম সেলের সংখ্যা, কারাগারের সংস্কার, ব্যবস্থাপনা, কনডেম সেলের সুযোগ-সুবিধা সংক্রান্ত প্রতিবেদন চেয়েছে হাইকোর্ট।
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে আদালতে এ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
ফাঁসির আসামিকে কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিটের শুনানির সময় সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিনও এ বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেন। পরে আদালত পরবর্তী শুনানির জন্য ৩১ অক্টোবর রিটের তারিখ ঠিক করে দেয়।
গত ১৮ জুন একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট আবেদনটি করা হয়।
তিন আবেদনকারী হলেন চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুল বশির এবং কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম।
বিচারিক আদালতের মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে তাদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের আবেদন) হাইকোর্টে বিচারাধীন।
রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, আইন সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, আইজি প্রিজন্স, চট্টগ্রাম, সিলেট ও কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপারকে বিবাদী করা হয়।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ