আইনি লড়াই শেষে চার মাস পর পাঁচ বছরের সন্তানকে ফিরে পেলেন শিপা বেগম নামের এক মা। রোববার (৩ মার্চ) দুপুরে সুনামগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে পুলিশ ওই শিশুটিকে তার মায়ের কাছে হস্তান্তর করে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ছয় বছর আগে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের ঈসা খানের সঙ্গে বিয়ে হয় নবীগঞ্জ উপজেলার বড় ভাকৈর ইউনিয়নের হরিনগর গ্রামের শিপা বেগমের। তাদের দাম্পত্য জীবনে পাঁচ বছরের এক কন্যাশিশু রয়েছে।
তবে, গত বছরের ২৯ অক্টোবর শিপা বেগমকে তার স্বামী ঈসা খান মারধর করলে, তিনি অভিমান করে ৩১ অক্টোবর স্বামীর নামে আদালতের মাধ্যমে সমন জারি করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শিপা বেগমের স্বামীর বাড়ির লোকজন একমাত্র সন্তানকে মায়ের কাছ থেকে আলাদা করে দেয় এবং তাকে আটকে রাখে। এ সময় মায়ের সঙ্গে তাকে দেখাও করতে দেওয়া হয়নি।
শিপা বেগম জানান, মেয়েকে আটকে রাখার পর পেরিয়ে যায় প্রায় সাড়ে তিন মাস। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তিনি স্বামীর বাড়িতে মেয়েকে দেখতে যান। সে সময় স্বামীর বাড়ির লোকজন তাকে মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে না দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। পরে ২৯ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জ আদালতে মেয়েকে ফিরে পাওয়ার জন্য মামলা করেন শিপা। সব মিলিয়ে চার মাস পর তিনি মেয়ের মুখ দেখতে পান। মেয়েকে ফিরে পেয়ে আনন্দিত তিনি।
জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, আদালতের নির্দেশে শিশুটিকে তার বাবার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে ওই শিশুকে তার মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নয়াশতাব্দী/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ