ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১, ৬ রজব ১৪৪৬

সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার রায় ফের পেছাল

প্রকাশনার সময়: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৩২

৩৫ বছর আগে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় দুষ্কৃতিকারীদের গুলিতে সগিরা মোর্শেদ সালাম (৩৪) নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ফের পিছিয়ে আগামী ১৩ মার্চ ধার্য করেছেন আদালত। রায় লেখা শেষ না হওয়ায় মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রায়ের দিন পিছিয়ে ১৩ মার্চ ধার্য করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইনের আদালত। এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি রায় প্রস্তুত না হওয়ায় রায়ের দিন পিছিয়ে আজকের দিন ধার্য করেন আদালত।

১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই। রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে ভিকারুননেসা স্কুলে মেয়েকে আনতে গিয়ে খুন হন সাগিরা মোর্শেদ। সেদিন রাতেই রমনা থানায় হত্যা মামলা করেন তার স্বামী সালাম চৌধুরী। প্রথমে ছিনতাই মামলা হলেও ২০১৯ সালের ২০ জুনে। যা পরে হাইকোর্টের নজরে আনেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। পরে সে সূত্র ধরে পাল্টে যায় পুরো ঘটনা, পিবিআই প্রধান জানান, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, সগিরা মোর্শেদের পরিবারের সঙ্গে আসামি শাহীনের বিভেদ তৈরি হয়েছিল। এছাড়া সগিরাকে অনেক অপছন্দ করতেন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সগিরা-শাহীনেরও মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। সম্বোধন করা নিয়েও পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল।

সগিরার কাজের মেয়েকে মারধর করে আসামি ডা. হাসান আলী চৌধুরী। এ নিয়ে পারিবারিক বৈঠকে শাহীন সগিরাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। আসামিরা নিজেদের বাসায় বসে সগিরাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ডা. হাসান আলী তার চেম্বারে অপর আসামি মারুফ রেজার সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় হত্যার চুক্তি করে।

তদন্তের পর এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে উঠে আসে সগিরা মোর্শেদকে কীভাবে হত্যা করা হয়। ডা. হাসান আলী চৌধুরী আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে বলেন, তিনি ইস্কাটনে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতেন। আসামি মারুফ রেজা তার রোগী ছিলেন। সে শহরে মাস্তানি করতো। সগিরা মোর্শেদকে শায়েস্তা করার জন্য তিনি তাকেই ঠিক করেন। তার সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় চুক্তি হয় এ কাজের জন্য। কিন্তু সে সগিরা মোর্শেদকে চিনতেন না। এজন্য তার শ্যালককে দায়িত্ব দেন সগিরা মোর্শেদকে চিনিয়ে দেয়ার জন্য।

নয়া শতাব্দী/আরজে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ