ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১, ৬ রজব ১৪৪৬

রায় ঘোষণার পরই ড. ইউনূসের জামিন

প্রকাশনার সময়: ০১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩১
ছবি- সংগৃহীত

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার জনকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১০ দিনের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

এই রায় ঘোষণার পরই কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ড. ইউনূসসহ চারজনকে আপিলের শর্তে জামিন দিয়েছেন শ্রম আদালত। রায় ঘোষণার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই আসামিদের জামিন দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (০১ জানুয়ারি) দুপুরে ড. ইউনূসসহ একই মামলায় দণ্ডিত চারজনকে সাজার রায় ঘোষণার পর তাদের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা।

এর আগে এদিন মামলাটির রায় শুনতে দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে আদালত চত্বরে হাজির হন ড. ইউনূস। এসময় মামলায় অন্য আসামিরাও হাজির হয়েছেন। পরে দুপুর ২টা ১২ মিনিটে বিচারক এজলাসে ওঠেন এবং ২টা ১৩ মিনিটে রায় পড়া শুরু করেন।

রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, আসামিপক্ষ এক নম্বর আসামির বিষয়ে প্রশংসাসূচক বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। যেখানে তাকে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করা নোবেল জয়ী আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব বলা হয়েছে। কিন্তু এ আদালতে নোবেলজয়ী ইউনূসের বিচার হচ্ছে না, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান হিসেবে বিচার হচ্ছে। এসময় আদালত বলেন, ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ সন্দেহাতিতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

এই মামলায় অন্য আসমিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। তাদেরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক মামলাটির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুনানি শেষে রায় ঘোষণার এই তারিখ ঠিক করেন।

গত ১১ অক্টোবর মামলার বাদী এবং প্রথম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। এরপর গত ১৮ অক্টোবর দ্বিতীয় সাক্ষী, গত ২৬ অক্টোবর তৃতীয় সাক্ষী এবং সর্বশেষ গত ২ নভেম্বর চতুর্থ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

নয়া শতাব্দী/এমবি

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ