দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, দেশের জনগণকে ন্যায়বিচার দিতে কাজ করে যাবো। সামাজিক পরিবর্তন না আসলে শুধু মামলা করে অপরাধ দূর করা যাবে না।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
আদালতকে রাজনীতির সঙ্গে না জড়ানোর জন্য রাজনীতিবিদদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে বিচার বিভাগ ব্যবহার হচ্ছে না। রাজনীতিবিদদের বলবো রাজনীতি করুন, তবে বিচার বিভাগকে জড়াবেন না, পারস্পরিক শ্রদ্ধা বজায় রাখুন।’
‘বিচার বিভাগের ওপর আস্থার যে কমতি হয়েছে তা শুধু বিচারকদের কারণে নয়, এ বিভাগের সাথে সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তাদের জন্য এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এটি ধীরে ধীরে আমাদের কাজ করার মাধ্যমে দূর হবে।’
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বিচার বিভাগসহ দেশের সব বিভাগে দুর্নীতি ক্যান্সারের মতো ছেয়ে গেছে-এটি থেকে মুক্ত করা বড় চ্যালেঞ্জ। আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতি মিলে যদি একসঙ্গে উদ্যোগ নিই তাহলে বিচারাঙ্গনের দুর্নীতি অপসারণ করা কঠিন কোনো কাজ হবে না। দুর্নীতি নিশ্চয়ই কমবে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা সবাই জিরো টলারেন্সে বিশ্বাস করি।’
এর আগে মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয় থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান বিচারপতি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এরমধ্য দিয়ে তিনি বাংলাদেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পান।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করেছেন। শপথগ্রহণের তারিখ থেকে তা কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়। এরআগে, ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল।
নয়াশতাব্দী/এমটিমন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ