দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিং আইনে দায়ের করা মামলায় ডিআইজি প্রিজনস পার্থ গোপাল বণিককে অস্বাভাবিকভাবে জামিন দেয়ার ঘটনায় হাইকোর্টে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত–৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন।
রবিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে দাখিল করা ব্যাখ্যায় ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
হাইকোর্টের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে লিখিত ব্যাখ্যা দেন জজ ইকবাল হোসেন। ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ফৌজদারি আপিল মামলায় গত বছরের ২ নভেম্বর হাইকোর্টের এক আদেশে পার্থ গোপাল বণিকের মামলার বিচার ছয় মাসের মধ্যে সম্পন্নের জন্য জজ ইকবাল হোসেনকে নির্দেশ দেয়া হয়। এই আদেশ যথা সময়ে না পৌঁছানোয় ছয় মাসের সময়সীমা অতিক্রম হয়েছে বলে আসামির আইনজীবী বিশেষ আদালতকে জানায়। এছাড়া ফৌজদারি রিভিশন মামলায় গত ২৫শে জানুয়ারি হাইকোর্ট অপর এক আদেশে মামলাটির বিচার এক বছরের মধ্যে সম্পন্ন করতে বলা হয়।
গত ১০ই মার্চ এই আদেশের অনুলিপি পান। এই আদেশে উল্লিখিত সময়সীমার মেয়াদ এখনো রয়েছে। বিশেষ আদালতের বিচারক ইকবাল হোসেন ব্যাখ্যায় বলেন, তিনি হাইকোর্টের আদেশ প্রতিপালনে সদা সচেষ্ট রয়েছেন।
গত ২৮ জুন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিচার শেষ না করে পার্থ গোপাল বণিককে অস্বাভাবিকভাবে জামিন দেয়ার ঘটনায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত–৫–এর বিচারক ইকবাল হোসেনের কাছে ব্যাখ্যা চান হাইকোর্ট। একইসঙ্গে পার্থ গোপাল বণিক অস্বাভাবিকভাবে জামিন দেয়ার বিষয় নিয়ে একটি প্রচারিত সংবাদ প্রতিবেদনের ভিডিও ক্লিপ আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। এছাড়া পার্থ গোপাল বণিকের জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন আদালত।
৮০ লাখ টাকাসহ হাতে নাতে গ্রেপ্তার বরখাস্ত হওয়া ডিআইজি প্রিজনস পার্থ গোপাল বণিককে অস্বাভাবিকভাবে জামিন দেয়ার বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকন। এছাড়া তার জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে দুদক।
নয়া শতাব্দী/এসইউ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ