বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের (২৪) উদ্ধার আলামতগুলো দেখে মনে হয়েছে প্রায় সবকিছু ঠিক আছে। তবে কিছু জায়গায় গ্যাপ রয়েছে মনে হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) ডিবির সাথে আলাপের পর বুয়েট শিক্ষার্থীরা এ কথা জানান।
এর আগে বুধবার ফারদিন স্বেচ্ছায় সুলতানা কামাল ব্রিজ থেকে পড়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি মানতে নারাজ বুয়েট শিক্ষার্থীরা।
এজন্য বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বুয়েটের শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধ দল রাজধানীর মিন্টু রোডে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। দুপুর ২টার দিকে তারা ডিবি কার্যালয় থেকে বের হন। এসময় উপস্থিত সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষার্থীরা ডিবির তদন্তে ‘আশ্বস্ত’ হয়েছেন বলে জানান।
এ সময় বুয়েটের এক শিক্ষার্থী বলেন, ডিবি কর্মকর্তারা ফারদিনের তদন্তের আলামতগুলো আমাদের দেখিয়েছেন, সবকিছু দেখে আমাদের কাছে বিষয়গুলো প্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে। আমাদের মনে হয়েছে তদন্তে ডিবি তাদের ‘বেস্ট এফোর্ট’ দিয়েছে। তবে কিছু গ্যাপ আছে। যেগুলো হয়তো আগামগামীতে সমাধান করবেন তারা।
গ্যাপ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, তাদের এভিডেন্স সবকিছুই প্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে। তবে ফারদিনকে ব্রিজের যে পাড়ে নামিয়ে দেয়া হয়েছে, তারপর হেঁটে ব্রিজের মাঝখানে গিয়েছে। তার সাথে আর কেউ ছিল কি না সেটা স্পষ্ট নয়। তবে আমরা ডিবির কার্যকলাপ ও সহযোগিতায় আশ্বস্ত।
অন্যদিকে ডিবি কার্যালয়ে মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের কাছে ফারদিনের বাবা কাজী নূর উদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলে আত্মহত্যা করতে পারে না, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর এখন আত্মহত্যার নাটক সাজানো হচ্ছে।’
তদন্ত নিয়ে অসন্তুষ্টি জানিয়ে কাজী নূর উদ্দিন বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমার ছেলেরা অভাব-অনটনের মধ্য দিয়ে বড় হয়েছে। সব ধরনের পরিস্থিতির সাথে চলতে পারা আমার ছেলে আত্মহত্যা করতে পারে না।’
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ