১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। এদিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে বাঙালি জাতি। বাঙালির সূর্য সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে নামবে লাখো মানুষের ঢল।
দিবসটিকে ঘিরে জাতীয় স্মৃতিসৌধের সকল প্রস্তুতি এর মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হতে পুরোপুরি প্রস্তুত হয়েছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ।
দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধ সাজানো হয়েছে নতুন রূপে। নানা রঙের বাহারি ফুলের চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে স্মৃতিসৌধের সবুজ চত্বর। চত্বরের সিঁড়ি ও নানা স্থাপনায় পড়েছে রঙতুলির আঁচড়। নিরপত্তার জন্য ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ ও উচ্চ মাত্রার সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। পুলিশ কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারিসহ সৌধ এলাকায় থাকবে তিন স্তুরের নিরাপত্তা বলয়।
স্মৃতিসৌধে আগত দর্শনার্থীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত এবং এর আশপাশের এলাকায় সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারিসহ মোতায়েন থাকবে সহস্রাধিক পুলিশ সদস্য।
দিবসটির প্রথম প্রহরেই রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষজন শহিদ বেদিতে ফুল দিয়ে বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন। তাই তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে যাবতীয় গার্ড অব অনার প্রদানের জন্য একটি সুসজ্জিত দল তাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা জ্ঞাপন শেষে স্মৃতিসৌধ ত্যাগ করার পর সর্বসাধারণ প্রবেশে উন্মুক্ত করা হবে সৌধের মূল ফটক।
জাতীয় স্মৃতিসৌধের গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবসে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীপরিষদের সদস্যবৃন্দ ও বিদেশি কূটনীতিকসহ লাখো মানুষ জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এজন্য সাভার গণপূর্ত বিভাগের পক্ষ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ দীর্ঘ প্রায় দেড় মাস ধরে ধুয়ে-মুছে, রঙতুলির আঁচড়ে, রঙ-বেরঙের ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। স্মৃতিসৌধে আগত সকলের নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এখানকার পুলিশ ও আনসার ক্যাম্পকে সর্বোচ্চ সতর্কমূলক অবস্থানে রাখা হয়েছে।
ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আসাদুজ্জামান বলেন, বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা আসবেন। এই লক্ষে সাভার স্মৃতিসৌধ এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। ইতিমধ্যে আমরা সর্বসাধারণের প্রবেশ বন্ধ রেখেছি। পাশাপাশি এলাকায় যে জনবসতি আছে তাদের নাগরিকত্ব ফরম দিয়েছি। নতুন কোনো লোকের এলাকায় প্রবেশাধিকার নিষেধাজ্ঞা করা হয়েছে৷
তিনি আরও বলেন, পাশাপাশি আমরা নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ওয়াচ-টাওয়ার দিয়েছি। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে। আমাদের প্রায় সাড়ে ৩ হাজার পুলিশ সদস্য এই সৌধ এলাকায় নিরাপত্তার দ্বায়িত্বে থাকবে। ইতিমধ্যে আমরা সৌধ এলাকায় নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দিয়েছি। সাভারের আমিনবাজার থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
নয়া শতাব্দী/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ