ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

অসাংবিধানিক পন্থায় ক্ষমতা চায় বিএনপি : প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

প্রকাশনার সময়: ১২ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:২৫

বিএনপি ও তার সহযোগীরা অসাংবিধানিক পন্থায় ক্ষমতায় যেতে চাইছে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নির্বাচিত সরকার যারা নতুন করে নির্বাচিত হয়ে আসবে, তাদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে— এটা সাংবিধানিক প্রক্রিয়া। বিএনপি ও তাদের সহযোগীরা বলছে এসব মানি না। তার মানে সংবিধানিক বিধি-বিধান তারা মানে না। তারা যা কিছু বলছে, এটা সংবিধানের বিধি-বিধান পরিপন্থি। দেশের সংবিধান অনুযায়ী অসাংবিধানিক কিছু করলে সেটা রাষ্ট্রদ্রোহিতা। সংবিধানের ৭(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাদের এ কৃতকর্ম রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধের শামিল।

তিনি বলেন, বিএনপি ও তাদের সহযোগীরা আগুন দিয়ে, পেট্রোল দিয়ে, রাস্তাঘাট ধ্বংস করে যে ইমেজ সংকটে পড়েছিল সে ইমেজ সংকট কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই নতুন করে আবার তারা অসাংবিধানিক পন্থায় ক্ষমতায় যাওয়ার এবং সাংবিধানিক পন্থায় যারা ক্ষমতায় আছে তাদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। রাজনীতির সঠিক পথে না থাকলে একসময় মাইক্রোস্কোপ দিয়ে তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলনের নামে বাংলাদেশকে পেট্রোলের বার্ন ইউনিটে পরিণত করেছিল বিএনপি-জামায়াত ও তাদের জোট। দেশের মানুষ তা ভুলে যায়নি। ২০১৪ সালে তারা নির্বাচন প্রতিহত করার নামে পাঁচ হাজারের বেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দিয়েছিল। তাদের লক্ষ্য ছিল গণতান্ত্রিক সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ধ্বংস করা। কিন্তু তারা সেটা করতে পারেনি, দেশে অসাংবিধানিক সরকার আর ক্ষমতায় আসতে পারেনি। এখনও তাদের লক্ষ্য সেটা। বিএনপির উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, অসংবিধানিক পন্থায় অথবা গণদুশমনে পরিণত হতে পারে এমন জনবিমুখ কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখলে এক সময় অস্তিত্বের সংকট দেখা দিতে পারে। রাজনীতিতে কেউ ভুল করলে তার সঙ্গে মানুষ চিরদিন থাকে না। এদেশের মানুষ শেখ হাসিনাতে আস্থা স্থাপন করেছে। কারণ মানুষের মৌলিক অধিকার শেখ হাসিনা নিশ্চিত করেছেন। করোনার ভয়াবহ সংকটে শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে ও অসাধারণ রাষ্ট্র পরিচালনায় বাংলাদেশে কেউ না খেয়ে মরেনি, বিনা চিকিৎসায় মারা যায়নি। আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। এই বাংলাদেশের মানুষের আস্থার জায়গা শেখ হাসিনা। তারা মনে করে শেখ হাসিনা থাকলে অধিকার নিশ্চিত হয়। শেখ হাসিনা থাকলে চিকিৎসা, খাদ্য, বাসস্থান সবকিছু নিশ্চিত হয়।

তিনি বলেন, বিজয়ের মাসে বিজয়ে পরাজিতরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায়। ত্রিশ লাখ শহিদের রক্ত মাড়িয়ে তাদের আবার এ বাংলাদেশে চাঁদ-তারা পতাকা ওড়ানোর সুযোগ দেয়া হবে না। যে একাত্তরের বিজয় ধ্বংস করার জন্য পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি করেছিল তাকে পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশে থাকার সুযোগ করে দিয়েছিল জিয়াউর রহমান। সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির সুযোগ করে দিয়েছিল জিয়াউর রহমান। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে উল্টে দেয়ার প্রক্রিয়ায় কুশীলবই শুধু নয়, নাটেরগুরু জিয়াউর রহমান। তার তৈরি করা দল ও তার জোটের কাছ থেকে বিজয়ের মাসে স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুদের লম্ফঝম্ফ দেখতে হচ্ছে।

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ