ঢাকা, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৪ কার্তিক ১৪৩১, ২৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

জিয়ার মদদে ঘটে ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড : তাজুল

প্রকাশনার সময়: ১৫ আগস্ট ২০২১, ২০:৩১

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার প্রত্যক্ষ মদদদাতা ছিলেন জিয়াউর রহমান এবং তার (জিয়া) নির্দেশে ঘটানো হয় ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড।

তিনি রোববার রাজধানীর কাকরাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, বিএনপি নির্যাতন, অন্যায়-অবিচার, শোষণ, প্রতিহিংসা ও ধ্বংসাত্মক রাজনীতি করে। আর আওয়ামী লীগ ন্যায়বিচার, মানুষের অধিকার আদায় ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার রাজনীতি করে। এখানেই দুটি রাজনৈতিক দলের পার্থক্য। বিএনপির ধ্বংসাত্মক রাজনীতির কারণে দলটি আজ ধূলিসাৎ হওয়ার পথে রয়েছে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর যারা ক্ষমতা দখল করেছিল তারা দীর্ঘ ২১ বছর দেশের মানুষকে কী দিয়েছে জাতি তা জানে। বঙ্গবন্ধুর খুনি জিয়াউর রহমান ও তার দোসররা বাঙালি জাতির ভাগ্যকে নির্বাসন দিয়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুনর্বাসন করা ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনি।

মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তান হানাদার বাহিনী দেশের সকল রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, ব্যাংক-বীমা, শিল্প-কারখানা ধ্বংস করেছিল। ধ্বংসস্তূপ থেকে দেশকে বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলায় রূপান্তর করার কাজ শুরু করেন এবং অক্লান্ত পরিশ্রম করে মাত্র সাড়ে তিন বছরে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেন। অর্থনৈতিক, আর্থ-সামাজিক, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে সক্ষম হন তিনি।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে তারা পাকিস্তানিদের দোসর, রাজাকার, আলবদর-আলশামস বাহিনী, স্বাধীনতাবিরোধী ছিল অথচ জাতির পিতাকে হত্যার পর কী যোগ্যতার কারণে তাদের উচ্চ পদে আসীন করে সম্মানিত করেছে, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত পতাকা ব্যবহার করার সুযোগ দিয়েছে। এসব দেখে মুজিব আদর্শের অনুসারীদের কি বুকে রক্তক্ষরণ হয়নি?

মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার অনেক ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। কিন্তু ১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে ক্ষতবিক্ষত দলকে পুনর্গঠন করে দেশ ও মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেন এবং ১৯৯৬ সালের ১২ জুন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন।

তিনি বলেন, কিন্তু ২০০১ সালের ১ অক্টোবরের প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর দেশ আবারো অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আবারো ক্ষমতায় আসে। বঙ্গবন্ধুকন্যার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আছে। তার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের বিস্ময়। স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মন্ত্রণালয় ও তার অধীন বিভিন্ন দফতর ও সংস্থার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের উদ্যোগে দুস্থদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ এবং বঙ্গবন্ধু ফটো গ্যালারি উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্য এবং ১৫ আগস্টে শহীদসহ সব শহীদের স্মরণে দোয়া করা হয়।

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ