ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপির কার্যালয় যেন ‘ভুতুড়ে বাড়ি’

প্রকাশনার সময়: ০৮ ডিসেম্বর ২০২২, ০৩:৫০ | আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২২, ০৪:১০

রাজধানী ঢাকা বুকে নয়াপল্টনের ভিআইপি রোডে অবস্থিত দেশের অন্যতম বিরোধী দল বিএনপির দলীয় অফিস যেনো এক খণ্ড ‘ভুতুরে বাড়ি’। এই অফিসটি ঘিরে এখন যেনো রাজ্যের ভয় চেপে বসেছে। নিচতলা থেকে সর্বশেষ ছয়তলা পর্যন্ত কোথাও কেউ নেই। পুরো ভবনজুড়েই রাজ্যের শুনসান নিরবতা।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশ ও নেতাকর্মীদের মুখোমুখি সংঘর্ষের পর এদিন রাত সাড়ে ৯টার পর ভিআইপি রোড নিস্তব্ধ হয়ে যায়।

এ সময় বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, কার্যালয়ের প্রবেশপথে জিয়াউর রহমানের একটি ভাস্কর্য রয়েছে। সেই ভাস্কর্য যে কাচের বক্সে রাখা হয়েছিল, সেটিও ভাংচুর করা হয়েছে। ভাস্কর্যে জিয়াউর রহমানের চোখে যে সানগ্লাস ছিল, সেটির একটি চোখের কাচ ভেঙে ফেলা হয়েছে।

সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় উঠতে দেখা গেছে, পুরো ভবনজুড়ে কাগজ, পানির বোতল, লাঠি, কার্টুন পড়ে আছে। ভেঙে ফেলা হয়েছে সিঁড়িকোঠার জানালার কাচও। দোতলায় ঢুকে একটি রুমের দরজা ভাঙা পাওয়া গেছে। উলট-পালট ছিল ওই রুমে থাকা সব তোশক। রুমটির অর্ধেক জায়গাজুড়ে ছিল পানির বোতল।

ওই তলার আরেকটি রুমে ঢুকে দেখা গেছে, চেয়ার উল্টে পড়ে আছে, রুমের টেবিলে রয়েছে একটি ডেনিম কাপড়ের জ্যাকেট।

তৃতীয় তলায় উঠতেই নাকে ভেসে আসছিল টিয়ারশেলের ঝাঁঝালো গন্ধ। অন্ধকার সিঁড়ি বেয়ে চতুর্থ তলায় উঠে দেখা গেছে, টেবিলের উপর কিছু কাগজপত্র রাখা আছে আর রুমটা ছিল অগোছালো। অন্য পাশে গিয়ে দেখা যায়, এলোমেলো পড়ে আছে চেয়ার, কার্টুন, চাটাই। ওই ফ্লোরের আরও একটি রুম ভর্তি ছিল পানির বোতল।

আরও একটি অন্ধকার সিঁড়ি বেয়ে পঞ্চম তলায় উঠতেই দেখা গেছে, দরজার ছিটকিনি ভেঙে পড়ে আছে ফ্লোরে। রুমটির মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি বালতি, বালিশ। অন্য আরেকটি রুমে সারিবদ্ধ ভাবে রয়েছে বেশ কয়েকটি চেয়ার। চেয়ারের পেছনে ছিল জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া এবং তারেক জিয়ার বোর্ডে কাটা কয়েকটি ভাস্কর্য। যেগুলো ওলট-পালট অবস্থায় পড়েছিল। ওই ফ্লোরের অন্য রুমগুলো অগোছালো ছিল।

সর্বশেষ ষষ্ঠ তলায় উঠে দেখা যায়, এখানেও একটি রুমের টেবিলের উপর ওলট পালট করে রাখা হয়েছে অনেকগুলো কাগজপত্র। চেয়ার ভেঙে পড়ে আছে ফ্লোরে।

পুরো ৬তলা ভবন ঘুরে আরও দেখা গেছে, রুমগুলোতে চলছিল লাইট, এসি ও ফ্যান। অনেক ওয়াশরুমের কলগুলো থেকে আসছিল পানি পড়ার শব্দ। অচেনা কোন ব্যক্তি ওই ভবনে প্রবেশ করলে, ভুতুড়ে বাড়ি ছাড়া কিছুই মনে হবে না।

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ