ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘বিশেষ অভিযানে’ রাজধানীতেই গ্রেফতার ৪৭২

প্রকাশনার সময়: ০৪ ডিসেম্বর ২০২২, ১৯:৪৭

পহেলা ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে পুলিশের বিশেষ অভিযান। এই অভিযানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে। বিশেষ করে শনিবার রাতে রাজধানীর সব আবাসিক হোটেল ও মেসে একযোগে তল্লশি চালানোয় আতঙ্কে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। চলমান অভিযানে শুধু রাজধানী ঢাকাতেই ৪৭২ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।

রোববার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন।

পুলিশের দাবি গ্রেফতারকৃতরা সরকারবিরোধী নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। তবে বিএনপির দাবি- গ্রেফতারকৃতরা সবাই বিএনপির নিরীহ নেতাকর্মী। সারাদেশে গতকাল পর্যন্ত ১০৩১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি দলটির শীর্ষ নেতাদের। এতে সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীরা গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

ডিসি মো. ফারুক হোসেন বলেন, গত ২০ নভেম্বর ঢাকা সিএমএম আদালত এলাকায় পুলিশ হেফাজত থেকে দণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার প্রেক্ষাপট বিবেচনা ও মহান বিজয় দিবস, বড়দিন এবং থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপন নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে চলমান অভিযানের পাশাপাশি ১-১৫ ডিসেম্বর বিশেষ অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেয় পুলিশ সদরদপ্তর।

ডিসি ফারুক আরও বলেন, সে নির্দেশনা মোতাবেক ডিএমপি পুলিশের ৫০টি থানা ও মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হাতে রোববার বিকেল পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে ৪৭২ জন আসামি। গ্রেফতারদের মধ্যে অনেকে পরোয়ানাভুক্ত আসামি। এছাড়া মাদক, দণ্ডপ্রাপ্ত, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, চোর, ছিনতাইকারীসহ নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাদের।

তিনি জানান, গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে। এসব মামলায় রিমান্ড আবেদন করে আসামিদের হাজির করা হবে আদালতে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি ফারুক হোসেন বলেন, কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশে নয়, কেবল যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে, তাদেরই গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

গত ২৯ নভেম্বর পুলিশ সদর দপ্তরের অপারেশন শাখার পাঠানো এক আদেশ অনুসারে, দেশের সব পুলিশ ইউনিটের প্রধান ও সব জেলার পুলিশ সুপারদের ১ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত অভিযান চালাতে বলা হয়।

আদেশে বলা হয়- অন্যান্য স্থানের পাশাপাশি আবাসিক হোটেল, মেস, হোস্টেল, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি সেন্টারসহ অপরাধীদের লুকিয়ে থাকার সম্ভাব্য স্থানগুলোতে কার্যকর অভিযান পরিচালনা করতে হবে। পরিচালিত অভিযানে জঙ্গি, সন্ত্রাসী, মাদকসেবী ও কারবারি, অবৈধ অস্ত্রধারী, পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেফতার, মাদক ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে।

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ