দেশজুড়ে এখন বিজয় উল্লাস, মহান বিজয় দিবস উদযাপনের অপেক্ষায় জাতি। মুক্তিকামী বাঙালি তাদের বুকের তাজা রক্তের বিনিময় এ মাসেই ছিনিয়ে এনেছিল বিজয়। বিজয় দিবসকে সামনে রেখে পতাকা নিয়ে পথে প্রান্তরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন মৌসুমি ফেরিওয়ালারা। বিজয় দিবসকে আনন্দঘন করতে জাতীয় পতাকা ছড়িয়ে দেওয়াই যেন তাদের কাজ। বিজয়ের এ মাসে শহর থেকে গ্রামের প্রতিটি অলিতে-গলিতে, স্কুল ও কলেজের সামনে পতাকা বিক্রি করছেন তারা।

সরেজমিনে সংসদ ভবনের সামনে দেখা যায়, একটি বাঁশের সঙ্গে ছোট-বড় লাল-সবুজের পতাকা বেঁধে বিক্রি করছেন এক যুবককে। লাল-সবুজের এ ফেরিওয়ালার কাছ থেকে বিজয় দিবসকে সামনে রেখে পতাকা কিনছেন অনেকেই। বছরের অন্য মাসে সে মৌসুমী ব্যবসায়ী হলেও এ মাসের জন্য লাল-সবুজের ফেরিওয়ালাই তার পরিচয়।

লাল-সবুজের ফেরিওয়ালার পথচলায় বর্ণিল হয়ে ওঠেছে পথ-ঘাট। মাইলের পর মাইল হেঁটে মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে দিচ্ছেন একটি জাতীয় পতাকা। এ যেন আত্মার টান। শুধু ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে এ লাল-সবুজের পতাকা বিক্রি। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময় এ বিজয়, ডিসেম্বর এলেই শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শুরু হয় জাতীয় পতাকা বিক্রির ধুম। বিজয় দিবসে দেশের সবজায়গায় সরকারি-বেসরকারি স্থাপনার পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়িতেও দেখা যাবে বিজয় নিশান বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।

জানতে চাইলে শাহবাগ এলাকার এক পতাকা বিক্রেতা বলেন, ‘আমি শুধু লাভের জন্য নয়, দেশ প্রেম থেকেই পতাকা বিক্রি করি। ডিসেম্বর মাস আসলেই আমি অন্য কাজ ছেড়ে দিয়ে বিভিন্ন মাপের পতাকা কিনে বিক্রি করি।’

এই পতাকা বিক্রেতা জানান, একেবারে ছোট পতাকা ১০ টাকা থেকে শুরু হয়ে মাপ অনুযায়ী ৩০, ৫০, ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়। ডিসেম্বরের ১৬ তারিখ পর্যন্ত পতাকা বিক্রি করে আমার ১০-১৫ হাজার টাকা আয় হয়।

নয়া শতাব্দী/জেআই