নূন্যতম বেতন ২০ হাজার টাকা করাসহ ১০ দফা দাবিতে লঞ্চ শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের ডাকা ধর্মঘট দ্বিতীয় দিনের মত চলছে। এতে বন্ধ রয়েছে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার রুটের লঞ্চ চলাচল।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) দ্বিতীয় দিনেও দেশের সবকটি নৌ-বন্দরে শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। এর আগে রোববার (২৭ নভেম্বর) ভোর থেকে দেশের সবকটি নৌ-বন্দরে নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকে এ কর্মসূচি শুরু হয়।
এদিকে ধর্মঘটের ফলে চট্টগ্রাম বন্দরে মাদার ভেসেল থেকে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। এমনকি বন্দরের পাশে থাকা ১৭টি ঘাটে লাইটার জাহাজ থেকে পণ্য উঠা-নামার কাজও বন্ধ রয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের শ্রমিক নেতারা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। শনিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে এখন পর্যন্ত কোনো পণ্য খালাস বা উঠা-নামার কোনো কাজই করেননি তারা।
এদিকে ধর্মঘটে সারাদেশের সাথে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে দ্বীপজেলা ভোলা। এতে অনেকটাই বিপর্যস্ত জনজীবন। ঘাটগুলো যেন সুনসান নিরবতা। নেই হকারদের হাক-ডাক, নেই কোলাহল। ঘাটেই নোঙর করা কয়েকটি লঞ্চ। শ্রমিকদের অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে। কোন কোন যাত্রী ঘাটে এসে নৌ-যান না পেয়ে ফিরে গেছেন। কেউ আবার বিকল্প ব্যবস্থা গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
এছাড়াও রোববার থেকে ভোলার ইলিশা, ভেদুরিয়া থেকে অভ্যন্তরীণ এবং দূরপাল্লার রুটের কোন লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। ভোলা-লক্ষীপুর রুট থেকেও ছেড়ে যায়নি কোন লঞ্চ।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ