ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোটায় আনার আহ্বান

প্রকাশনার সময়: ২২ নভেম্বর ২০২২, ০৪:২৩

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোটায় আনতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন । সোমবার (২১ নভেম্বর) নবনিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কে. ভার্মা সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ আহবান জানান।

ড. মোমেন বাংলাদেশে নতুন হাইকমিশনারের সফল মেয়াদ কামনা করেন। তিনি বলেন, ভারতকে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী হিসেবে বিবেচনা করে বাংলাদেশ। এই সম্পর্ক দৃঢ় ও অনন্য।

তিনি বলেন, উভয় দেশ ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বন্ধনের মাধ্যমে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। গত ৫০ বছরে উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অভূতপূর্ব উচ্চতায় পৌঁছেছে। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় জনগণ ও ভারত সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথাও স্মরণ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিভিন্নভাবে ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরিপূরক। বাংলাদেশ একটি আঞ্চলিক সংযোগ কেন্দ্র হিসেবে অবস্থান করছে এবং ভারতের নিকটতম প্রতিবেশী হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কল্পনা অনুসারে সংযোগের দৃষ্টিভঙ্গির সুবিধা পেতে পারে।

ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিষয়ে মোমেন এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে আন্তর্জাতিক নিয়ম ও নিয়ম ভিত্তিক অবাধ ও ন্যায্য সংযোগের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের সন্ত্রাসবাদ, মৌলবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির পদক্ষেপের ফল ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত করেছে।

ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের যেখানেই যাই না কেন আমাকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানানো হচ্ছে। বাংলাদেশে কাজ করা সম্মানের। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়ে কাজ করতে চাই।

প্রণয় ভার্মা বলেন, জি-২০ বিশ্বব্যাপী আলোচনায় পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়গুলিকে উন্নীত করতে এই বৈঠকে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ আশা করে ভারত। হাইকমিশনার প্রতিটি দেশের প্রার্থীদের সমর্থনে বহুপাক্ষিক অঙ্গনে একসঙ্গে কাজ করার ওপর জোর দেন।

মোমেন-ভার্মা বহু পুরোনো সম্পর্ক জোরদার করতে বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মধ্যে সম্পর্ক বাড়ানোর ওপর জোর দেন।

ড. মোমেন বলেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হওয়া ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে। মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দিয়ে আসছে বাংলাদেশ। কিন্তু বিষয়টি এখন বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ও বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমি মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনে ভারতের সমর্থন চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। জবাবে হাইকমিশনার জানান, ভারতও এই সমস্যার একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান পেতে আগ্রহী। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের দ্রুত, নিরাপদ, টেকসই এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে কাজ চালিয়ে যাবে।

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ