নগরের কোতোয়ালি থানা পুলিশের হাতে অস্ত্রসহ গ্রেফতার হওয়া হুইপ সামশুল হকের ভাই নবাবের বাড়ির কেয়ারটেকার মো. কায়েসসহ তিন অস্ত্র ব্যবসায়ীকে দুই দিন রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহানের আদালতে তাদের হাজির করা হয়।
পুলিশ পুনরায় রিমান্ড আবেদন না করায় আদালত ৩ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান বলেন, কায়েস অস্ত্র ক্রয় করেছে আনু থেকে। আনু ক্রয় করেছে আলভী থেকে। আলভীকে গ্রেফতার করতে পারলে অন্য তথ্যগুলো বেরিয়ে আসবে।
গত বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহানের আদালতে মো. কায়েসসহ তিন অস্ত্র ব্যবসায়ীকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ২ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বক্সিরহাট কেসি বণিক জুয়েলার্সের সামনে থেকে মো. কায়েসকে ১টি দেশি এলজি, ১ রাউন্ড কার্তুজসহ গ্রেফতার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আরো ২ জনকে হালিশহর থানার মুহুরীপাড়ার উত্তর আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার মো. কায়েস (২৩) পটিয়া উপজেলার শোভনদণ্ডী ইউনিয়নের শোভনদণ্ডী এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ডের চৌধুরীবাড়ির মো. ফিরোজের ছেলে। তিনি হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর ছোট ভাই নবাবের বাড়ির কেয়ারটেকার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অন্যরা হলেন ডবলমুরিং থানার ২৭ নম্বর ওয়ার্ড সিডিএ ২৬ নম্বর বাদশা মিঞার বাড়ির সামছুল আলমের ছেলে নজরুল ইসলাম আনু (২৫) ও সদরঘাট থানার দারোগারহাট রোড পূর্ব মাদারবাড়ী, মুক্তিযোদ্ধা গলির লালু মিঞার ছেলে সাজ্জাদ হোসেন সজীব (২৭)।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, মো. কায়েস প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থেকে অস্ত্রের ব্যবসা করেন। মো. কায়েস পেশায় অস্ত্র ব্যবসায়ী। কায়েস অস্ত্র ও কার্তুজ নজরুল ইসলাম আনু ও সাজ্জাদ হোসেন সজীবের কাছ থেকে কিনেছেন। অস্ত্রশস্ত্র তিনি কম দামে কিনে বিভিন্ন আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্যদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করেন। রিমান্ডে প্রভাবশালী কাদের ছত্রছায়ায় অস্ত্র ব্যবসা করছে, সেটার তদন্ত করা হবে।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ