আগামীকাল থেকে যারা ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করবেন; তারা ঘরে বসেই ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবেন বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) বিআরটিএ’র সদর কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনআরএসসি) ২৯তম সভা শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের একথা জানান। এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন,‘তবে আবেদনকারীকে বায়োমেটিক্স প্রদানসহ পরীক্ষার জন্য একবার বিআরটিএতে আসতে হবে।’
ওবায়দুল কাদের জানান, বিশ্ব ব্যাংক প্রস্তাবিত রোড সেফটি প্রোগ্রামের আওতাধীন প্রথম পর্যায়ের একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে; যার প্রাক্কালিতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৪ হাজার ৮০ কোটি টাকা। ইতোমধ্যে প্রকল্পের ডিপিপি পুনর্গঠন করা হয়েছে যা দ্রুতই একনেক সভার জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস এবং এর কারণে সংগঠিত ক্ষতির মাত্রা কমানো; সড়ক নিরাপত্তার সাথে জড়িত সরকারি সংস্থাসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন। প্রকল্পটিতে সওজ অধিদপ্তর, বিআরটিএ, বাংলাদেশ পুলিশ এবং স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তর স্টেক হোল্ডার হিসেবে রয়েছে। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কাল ডিসেম্বর ২০২২ থেকে নভেম্বর ২০২৭।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ও মাদারীপুর-২ আসনের এমপি শাজাহান খান, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম মনির হোসেন পাঠান, ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান, বিআরটিসির চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ