সরকার ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৬৭ লাখ যুবক-যুবতীকে দক্ষ ও আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষে বিভিন্ন আয়বর্ধক পেশায় প্রশিক্ষণ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া সচিব মেসবাহ উদ্দিন।
শুক্রবার (১১ নভেম্বর) যুব ও ক্রীড়া সচিব এ তথ্য জানান। বলেন, ‘যুব উন্নয়ন বিভাগ সারাদেশে মোট ৮৩টি ট্রেডে (পেশায়) প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এবং ৬৭ লাখের মধ্যে ২৩ লাখ প্রশিক্ষিত যুবক আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত রয়েছে।
তিনি বলেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সারাদেশে আয়বর্ধক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করার লক্ষে প্রতি বছর সাড়ে তিন লাখ যুবককে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
মেসবাহ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, সারা দেশে যুবকদের ৮৩টি ব্যবসায় প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য যুব অধিদপ্তরের ৭০টি যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। নির্ধারিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ছাড়াও, জেলা যুব কার্যালয় এবং উপজেলা যুব কার্যালয়ও যুবকদের দক্ষ ও আত্মকর্মসংস্থানে পরিণত করার লক্ষে প্রশিক্ষণের জন্য নিযুক্ত রয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, যুব বিভাগ স্টার্টআপ ক্যাপিটাল হিসেবে নিজস্ব তহবিল থেকে ১০,৩১,০৯৩ প্রশিক্ষিত যুবকদের ২,৩০২.৪৩ কোটি টাকা সহজ শর্তে ঋণ দিয়েছে।
এতে বলা হয়, সরকার তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কর্ম সংস্থান ব্যাংক এবং এনআরবিসি ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে এবং যুবকরা স্টার্টআপ মূলধন হিসেবে ৫-১০ লাখ টাকা ঋণ পাবেন।
সরকার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের লক্ষে যুবকদের কম্পিউটার এবং আইসিটি এবং অন্যান্য প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। যাতে যুবকদের সামাজিক কাজে নিয়োজিত করা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা যায়।
টেকব প্রকল্পের আওতায় ভ্রাম্যমাণ ভ্যানের মাধ্যমে উপজেলা-ইউনিয়ন পর্যায়ে কম্পিউটার ও আইসিটি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।
যুবকদের ন্যায্য কর্মসংস্থানের জন্য যানবাহন চালনার প্রশিক্ষণ ও দেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পের মেয়াদে (২০২১-২৩), এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৪০ হাজার চালক তৈরির লক্ষ্য নিয়ে কার্যক্রম চলছে। আশা করা হচ্ছে তাদের সকলেরই কর্মসংস্থান হবে।
এছাড়া শিক্ষিত বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে সরকার ২০০৯-২০১০ অর্থবছর থেকে ‘ন্যাশনাল সার্ভিস প্রোগ্রাম’ বাস্তবায়ন করেছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৮ হাজার ৩ শ’ ২০জন যুবককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষের সাথে একটি সমঝোতার আওতায় ৪৭১১ জনকে ১২টি ব্যবসায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
যুব ঋণ কর্মসূচি কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। নিয়মিত ঋণ কর্মসূচির পাশাপাশি মুজিববর্ষ উপলক্ষে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ২ হাজার ১৩ জন প্রশিক্ষিত যুবকের মধ্যে ১০ কোটি ৭০ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ