একজন প্রশিক্ষিত সৈনিকের বন্ধু হচ্ছে তার ব্যক্তিগত অস্ত্র। কাজেই এই অস্ত্রের উপর তার পারদর্শিতা থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ। বলেন, দেশপ্রেম এবং মনোবল নিয়ে প্রতিটি বিজিবি সদস্য দেশের প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত থাকে। আর এই প্রস্তুতির একটি বড় অংশ হচ্ছে পেশাগতভাবে নিজেকে গড়ে তোলা। মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) বিজিবি সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর সকল স্তরের সৈনিকদের ফায়ারিং এর মানোন্নয়ন তথা পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিজিবি’র সেক্টর সদর দপ্তর, কুমিল্লার ক্ষুদ্রাস্ত্র ফায়ারিং রেঞ্জে ‘বিজিবি ফায়ারিং প্রতিযোগিতা-২০২২’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব উপভোগ করেন এবং চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ দলের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিজিবি’র উত্তর-পূর্ব রিজিয়ন, সরাইল এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং কুমিল্লা সেক্টরের ব্যবস্থাপনায় গত ৩০ অক্টোবর বিজিবি ফায়ারিং প্রতিযোগিতা শুরু হয়। প্রতিযোগিতায় বিজিবি’র ৫টি রিজিয়ন ও ২টি স্বতন্ত্র সেক্টর থেকে আসা ৭টি দলের সর্বমোট ৮৪ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। ৩ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ ফায়ারিং প্রতিযোগিতায় চট্টগ্রাম রিজিয়ন চ্যাম্পিয়ন এবং সরাইল রিজিয়ন রানার আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে। এছাড়া ফায়ারিং এ ব্যক্তিগত নৈপূণ্য প্রদর্শন করে সরাইল রিজিয়ন এর কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের নম্বর-১০৮২৮৯ সিপাহী মো. ঈশা ইবনে লেমন ১ম শ্রেষ্ঠ ফায়ারার এবং একই ব্যাটালিয়নের নম্বর-৮৫০৫১ ল্যা. না. মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ২য় শ্রেষ্ঠ ফায়ারার নির্বাচিত হয়।
সমাপনী বক্তব্যের শুরুতেই বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এ বাহিনী কালের পরিক্রমায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সানুগ্রহ এবং পৃষ্ঠপোষকতায় ধারাবাহিক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে আজ এ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, পেশাগত উৎকর্ষতার একটি অন্যতম উপাদান হচ্ছে অস্ত্র প্রশিক্ষণ এবং ফায়ারিং এ দক্ষতা অর্জন। বিজিবি মহাপরিচালক ফায়ারিং এ অংশগ্রহণকারী সকল সদস্যকে অভিনন্দন জানান। বিশেষ করে অংশগ্রহণকারী অপেক্ষাকৃত বয়োজ্যেষ্ঠ সৈনিক এবং মহিলা সৈনিকদের তিনি বিশেষ সাধুবাদ জানান।উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে উপস্থিত সকলকে অনুপ্রাণিত করার জন্য বিজিবি মহাপরিচালক নিজেই ফায়ারিং এর মাধ্যমে নিপুণ লক্ষ্যভেদ করে অস্ত্র চালনার ব্যাপারে তার পারদর্শিতা প্রদর্শন করেন। অনুষ্ঠানে বিজিবি সদর দপ্তর, সরাইল রিজিয়ন, কুমিল্লা সেক্টর ও ব্যাটালিয়নের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা, সকল স্তরের বিজিবি সদস্য এবং বিভিন্ন রিজিয়ন ও সেক্টর থেকে আগত ফায়ারিং প্রতিযোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ