ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

গভীর সংকটে অর্থনীতি : বিএনপি

প্রকাশনার সময়: ২৬ অক্টোবর ২০২২, ২০:২৩
ফাইল ছবি

মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়নে সরকারের উচ্চ সুদে ঋণ গ্রহণ এবং বিদেশে অর্থ পাচারের কারণে আজকে দেশের অর্থনীতি গভীর সংকটের মুখে বলে মনে করছে বিএনপি। দলটি বলছে, সরকারের দুর্নীতি ও অর্থ লুট করে বিদেশে পাচারের কারণেই রিজার্ভের পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে। বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জ্বালানী ক্রয় করতে পারছে না সরকার। এছাড়াও সরকারের মদদপুষ্ট গুটিকতক কোম্পানিকে সকল সুবিধা প্রদান, ইনডেমনিটি আইন প্রণয়ন, দেশে গ্যাস উত্তোলনে অনীহা, স্পট মার্কেট থেকে উচ্চমূল্যে এলএনজি ক্রয়ের কারণেও সংকটময় পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলেছে। সর্বোপরি সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি, অযোগ্যতা ও অব্যস্থাপনার কারনে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।

বুধবার (২৬ অক্টোবর) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সই করা স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত জানাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় এ তথ্য।

সোমবার রাতে জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভায় মির্জা ফখরুল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিষ্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান এবং ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

মির্জা ফখরুল বলেন, স্থায়ী কমিটি মনে করে, অনির্বাচিত সরকারের কোথাও জবাবদিহিতা না থাকায় নজিরবিহীন দুর্নীতি চরম পরিস্থিতির দিকে নিয়ে গেছে। জ্বালানী উপদেষ্টার মন্তব্য বিএনপির কয়েকটি প্রেস কনফারেন্স ও সেমিনারের বক্তব্যকেই প্রতিষ্ঠিত করেছে। জ্বালানীর অপ্রাপ্যতা, বিদ্যুতের সরবরাহে চরম বিপর্যের সকল দায় নিয়ে অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ দাবি জানিয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বাভাসে ২০২৩ সালে বিদেশী ঋণের পরিমান দাঁড়াবে ১১৫ বিলিয়ন ডলারে, আর ২০২২ সালে এই ঋণ পরিশোধেই ব্যয় হবে ২৩ বিলিয়ন ডলার। অনির্বাচিত সরকারের গৃহীত তথাকথিত মেগা প্রজেষ্ট এবং প্রয়োজন নয় এমন সব প্রকল্প গ্রহণ, সুষ্ঠ কোনও পরিকল্পিত নীতি ব্যতিরেকে উচ্চ সুদে ঋণ গ্রহণ, আন্তর্জাতিক ঋণ প্রদানকারী সংস্থা গুলোকে এড়িয়ে ব্যক্তিস্বার্থে ঋণ গ্রহণ অর্থনীতিতে গভীর সংকট সৃষ্টি করেছে। এর দায়ভার নিয়ে অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করা উচিত বলে মনে করে স্থায়ী কমিটি।

অর্থ বরাদ্দ না থাকায় ২০২২-২৩ অর্থ বছরে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচী কার্যক্রম ‘বয়স্ক ভাতা এবং বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ত নিগৃহীত মহিলা ভাতার জন্য নতুন তালিকাভুক্তি বন্ধ করায় সভায় সরকারের তীব্র সমালোচনা করা হয়। বিএনপি মহাসচিব বলেন, সমাজের দরিদ্র জনগোষ্ঠির সবচেয়ে অসহায় অংশ বয়স্ক ও বিধবা, স্বামী নিগৃহীত মহিলা। বর্তমান মূল্যস্ফীতির সময় এই কর্মসূচীতে নতুন তালিকাভুক্তি বন্ধ করা অমানবিক। অবিলম্বে নতুন তালিকাভুক্তি শুরু করার দাবি জানানো হয়।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, সিত্রাং ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলীয় এলাকায় প্রায় ৩০ জনের প্রাণহানী ও অসংখ্য বাড়ি-ঘর ধ্বংস, মৎস্য খামার ও ফসল বিনষ্ঠ হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করা হয় এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের যথাযথ ক্ষতিপূরণের দাবি জানানো হয়। দূর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে দলের সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানিয়েছে তিনি।

নয়াশতাব্দী/এমএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ