ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ব্যাপক আঘাতে বিদ্যুৎ বিতরণ লাইনে ব্যাঘাত ঘটার কারণে ৮০ লাখ গ্রাহক বর্তমানে বিদ্যুৎ সেবার বাইরে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে তিনি এ তথ্য জানান। বলেন, মঙ্গলবার বিকালের মধ্যে ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎ ফিরিয়ে আনা যাবে। এছাড়া বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরের মধ্যে শতভাগ কানেক্ট দেয়া যাবে।
এদিকে শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবরে সিত্রাংয়ে আট জেলায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজধানীর অন্তত দুই শতাধিক স্থানে গাছ ভেঙে সড়কে পড়েছে। এতে যান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। এ ছাড়া উপকূলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত শুরু করে সিত্রাংয়ের অগ্রবর্তী অংশ। আর রাত ১০টা নাগাদ ঝড়টির কেন্দ্র উপকূল পেরিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করে। এ সময় ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে নোয়াখালী, ভোলা, বরিশাল ও কক্সবাজারসহ উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় ৬-৯ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হয়।
পরে সিলেট ও কুমিল্লা হয়ে ত্রিপুরায় প্রবেশ করে সিত্রাং।
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ-বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীর বক্তব্য প্রসঙ্গ টেনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিনি শঙ্কা হিসাবে কথাগুলো বলেছেন। অচিরেই সেই শঙ্কা কেটে যাবে।
এর আগে তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, দেশের কৃষি ও শিল্পখাতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। এই দুই খাতের সুরক্ষা দিতে যা যা দরকার হয়, সরকার তা করবে। এ জন্য প্রয়োজনে দিনের বেলায় বিদ্যুতের ব্যবহার বন্ধ রাখারও পরামর্শ দেন তিনি।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ