ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘করোনায় আক্রান্ত সরকার, ভেন্টিলেশন খুললেই পড়ে যাবে’

প্রকাশনার সময়: ১১ আগস্ট ২০২১, ২০:২৩

ভেন্টিলেশন খুলে দিলেই পড়ে যাবে সরকার মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বর্তমান সরকার বহু আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তারা এখন ভেন্টিলেশনে রয়েছে। এই ভেন্টিলেশন খুলে গেলে সরকার আর থাকবে না।

বুধবার ‘কেরানীগঞ্জ উপজেলা দক্ষিণ থানা বিএনপির উদ্যোগে করোনা চিকিৎসা ও সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

গয়েশ্বর বলেন, এই সরকারের প্রাপ্তির কোনো বিষয় নেই। ওদের হারানোর কিছু নেই। সর্বহারার হারানোর কিছু আছে? যদি আমাদের হারানোর থাকে হয়তো পরনের কাপড়টা হারানোর আছে, কিন্তু ওদের হারানোর কিছু নেই।

তিনি বলেন, রাজনীতিবিদদের বড় কাজ হচ্ছে জনসেবা। আর জনসেবার বৃহত্তর লক্ষ্যে রাজনৈতিক সহযোগিতার দরকার হয়। কিন্তু জনসেবা থেকে কোনো রাজনীতি জনগণ কখনোই গ্রহণ করে না। জনগণের যে অধিকার সেই অধিকারের মধ্যে চিকিৎসা অধিকার মৌলিক অধিকার। তা নিশ্চিত করতে এই সরকার ব্যর্থ হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সব সংকটকালীন সময়ে গরিব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বিএনপি। কারণ আমরা রাজনীতি করি জনগণের জন্য, রাজনীতি মানেই হলো জনসেবা। দান সব সময় নিঃস্বার্থ করতে হয়।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে গয়েশ্বর বলেন, প্রয়োজনে একাধিক হেল্প সেন্টার খুলতে হবে। ওষুধ বিতরণের ক্ষেত্রে ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। বিনা পরামর্শে কাউকে ওষুধ দিলে পার্শপ্রতিক্রিয়া দেখা যাবে।

সরকারের মন্ত্রীরা কাজের কাজ কিছুই করছেন না বলে অভিযোগ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকারের মন্ত্রীরা বলছেন একে একে সব খুলে দিচ্ছি। শিল্প-কলকারখানা, গণপরিবহন, মার্কেটসহ সব খুলে দিচ্ছে। কিন্তু স্কুল-কলেজগুলো খুলে দেবেন না। ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তা দিয়ে ইউরোপে স্কুল-কলেজ খুলে দিয়েছে। তাদের জীবন ধ্বংস করেনি। অথচ সরকার স্কুল-কলেজ খুলে দিচ্ছে না। শুধু বড় বড় কথা বলছে।

তিনি বলেন, যেখানে গণতন্ত্রের বদলে, মুক্তচিন্তার বদলে, গুম-খুন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার, সেখানে বিরোধী দল হিসেবে জনগণের পাশে দাঁড়ানো কষ্টকর। তারপরও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে কেউ বসে নেই। আতঙ্কের মধ্যেও নেতাকর্মীরা জনগণের পাশে আছেন।

সরকারের সমালোচনা করে রিজভী আরো বলেন, সরকার লকডাউন তুলে দিয়েছে। যেখানে সরকারি হিসেবে গড়ে প্রতিদিন ২৫০ জনের বেশি লোক মারা যাচ্ছে। গ্রামগঞ্জে যারা মারা যাচ্ছেন তাদের হিসাব নেই। অথচ যখন ৫০ জন মারা যেত তখন লকডাউন দিয়েছিল। জনগণের প্রতি শ্রদ্ধা ও দায়বদ্ধতা না থাকায় সরকার যখন যা খুশি তাই করছে।

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ