ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতে যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে হবে’

প্রকাশনার সময়: ২১ অক্টোবর ২০২২, ১৯:২০

রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ বলেছেন, সড়ক নিরাপত্তা কার্যক্রম টেকসই করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

শুক্রবার (২১ অক্টোবর) ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২২’ উপলক্ষে এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।

সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও আগামীকাল শনিবার (২২ অক্টোবর) সারাদেশে ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘আইন মেনে সড়কে চলি, নিরাপদে ঘরে ফিরি’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।

আবদুল হামিদ বলেন, উন্নত যোগাযোগ অবকাঠামো এবং যুগোপযোগী পরিবহন সেবা টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত। একটি দক্ষ পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিতকল্পে সরকার মহাসড়ক নেটওয়ার্ক মেরামত, সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ এবং সমন্বিত আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। চাহিদার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ অভ্যন্তরীণ ক্রমবর্ধমান সড়ক নেটওয়ার্ক নির্মাণের পাশাপাশি আন্ত:দেশীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণে উপ-আঞ্চলিক মহাসড়ক যোগাযোগ স্থাপনেরও কর্মপ্রয়াস চলমান আছে। রাষ্ট্রপতি বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মা সেতু এ লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হবে।

তিনি বলেন, এছাড়া চট্টগ্রামের কর্ণফুলি নদীর তলদেশ দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম ও বাংলাদেশের প্রথম ‘বঙ্গবন্ধু টানেল’ নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে আছে। সহজ ও আরামদায়ক যোগাযোগ এবং সড়ক নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিয়ে মহাসড়কগুলো পর্যায়ক্রমে চার বা চারের অধিক লেনে উন্নীতকরণ, সড়ক ডিভাইডার নির্মাণ, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক সরলীকরণ, ফ্লাইওভার, আন্ডারপাস, ওভারপাস নির্মাণ, ট্রাফিক সাইন ও সিগন্যাল স্থাপন বা পুনঃস্থাপন, গাড়ি চালকদের প্রশিক্ষণসহ নানামুখী উদ্যোগ ও কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন, দেশে সড়ক অবকাঠামোর অভূতপূর্ব উন্নতির সাথে সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে মোটরযানের সংখ্যা, যাত্রী এবং যানবাহনের গতি। সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টি তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, গাড়ি চালকদের প্রতিযোগিতা, বেপরোয়া ওভারটেকিং, অদক্ষতা, ওভারলোডিং, চালকের পর্যাপ্ত বিশ্রামের অভাব, পথচারীদের ট্রাফিক আইন না মানা ও সামাজিক অসচেতনতাসহ বিভিন্ন কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে এবং জান ও মালের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে পরিবহন মালিক, শ্রমিক, যাত্রী, পথচারী নির্বিশেষে সকলের এ সংক্রান্ত আইন ও বিধিবিধান জানা এবং তা মেনে চলার বিকল্প নেই। তাই ‘আমি আশা করি, সড়ক নিরাপত্তা কার্যক্রমকে টেকসই করতে সংশ্লিষ্ট সকলে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।’

রাষ্ট্রপতি ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ২০২২’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচীর সফলতা কামনা করেন।

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ