ঢাকা, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সৌদি গমনেচ্ছুদের পাসপোর্ট নেয়নি দূতাবাস

প্রকাশনার সময়: ১৭ অক্টোবর ২০২২, ২২:২১

সৌদি আরব যেতে ইচ্ছুক কর্মীদের পাসপোর্ট জমা নেয়নি দূতাবাস। দিনভর অপেক্ষা করেও রিক্রুটিং এজেন্সির প্রতিনিধিরা পাসপোর্ট জমা দিতে পারেননি।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) এজেন্সিগুলোর সংগঠন বায়রার সভাপতি ও মহাসচিব গণমাধ্যমকে জানান, যোগাযোগের ঘাটতির কারণে আজ পাসপোর্ট জমা নেয়নি। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে নেবে।

সৌদি আরব বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার। চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চাকরি নিয়ে বিদেশে যাওয়া আট লাখ ৭৪ হাজার ৭৩৯ জন বাংলাদেশি কর্মীর পাঁচ লাখ ১৩ হাজার ৬৫৩ জনের গন্তব্য ছিল সৌদি আরব।

গত ১২ অক্টোবর শাপলা গ্লোবাল সার্ভিস নামের প্রতিষ্ঠানের চিঠিতে বায়রাকে জানানো হয়, ঢাকাস্থ সৌদি দূতাবাসে বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মীদের ভিসার আবেদন আর সরাসরি গ্রহণ করা হবে না। দূতাবাস 'শাপলা সেন্টারকে ওয়ান স্টপ ভিসা সার্ভিস সেন্টার হিসেবে নিয়োগ করেছে। এ নিয়োগকে বহুল প্রতীক্ষিত এবং সব পক্ষের জন্য লাভজনক আখ্যা দেওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞপ্তিতে।

তবে রিক্রুটিং এজেন্সি বলছে, এতে অভিবাসন ব্যয় বাড়বে। গত শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বায়রা জানায়, শাপলা সেন্টারে পাসপোর্ট জমা দেবে না। গত রোববার সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, কনস্যুলেট জেনারেলসহ দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বায়রা সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাশার, মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমানসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা।

বৈঠকের পর বায়রা জানায়, সোমবার থেকে পাসপোর্ট জমা নেবে দূতাবাস। যেসব রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স নম্বর থেকে ১ থেকে ৫০০; সেগুলোর দেওয়া পাসপোর্ট প্রতি রোববার জমা নেওয়া হয়। ৫০১ থেকে ১০০০ নম্বরের এজেন্সির পাসপোর্ট নেওয়া হয় প্রতি সোমবার। এই সূচি অনুযায়ী, সোমবার সকাল সাড়ে আটটায় গুলশানের সৌদি দূতাবাসে পাসপোর্ট জমা দিতে যান এজেন্সি প্রতিনিধিরা।

প্রতিনিধিরা জানান, সোমবার ৩০০ থেকে ৩৫০ এজেন্সি পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার কর্মীর ভিসার জন্য পাসপোর্ট নিয়ে গিয়েছিল। শাপলা সেন্টারে পাসপোর্ট প্রতি তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা দিতে হবে। বছরে পাঁচ লাখ কর্মী সৌদি গেলে প্রতিষ্ঠানটি ১৫০ থেকে ২০০ কোটি পাবে এ বাবদ। এজেন্সি মালিকদের শঙ্কা কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ফি ৫০০ থেকে বেড়ে যেভাবে ১০ হাজার টাকা হয়েছে, ভিসা সেন্টারের খরচও একইভাবে বাড়তে পারে। এতে ক্ষতি হবে কর্মীদের। তাদের পকেট থেকে যাবে বর্ধিত অভিবাসন ব্যয়।

নয়াশতাব্দী/এমএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ