ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক হজ ও ওমরাহ মেলা ১৭-১৯ নভেম্বর

প্রকাশনার সময়: ১৬ অক্টোবর ২০২২, ২৩:৪৬

সোমবার শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক হজ ও ওমরাহ মেলা। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) তিন দিনব্যাপী এই মেলার আয়োজন করেছে।

রোববার (১৬ অক্টোবর) হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম এ তথ্য জানান।

দুপুরে পল্টনে হাবের নির্বাহী কমিটির সঙ্গে রিলিজিয়াস রিপোর্টার্স ফোরামের (আরআরএফ) নতুন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে তিনি মেলা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে আরআরএফ’র নতুন কার্যনির্বাহী কমিটিকে শুভেচ্ছা জানান হাব সভাপতি।

সাক্ষাৎকালে হাব মহাসচিব ফারুক আহমেদ সরদার, আরআরএফ সভাপতি উবায়দুল্লাহ বাদল ও সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবলুর নেতৃত্বে সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটি ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আগামী মৌসুমের হজ প্রসঙ্গে হাব সভাপতি বলেন, ২০২৩ সালের নভেম্বরে হজ মৌসুমের জন্য সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি হবে। চুক্তির ওপর নির্ভর করছে আগামী বছর বাংলাদেশ থেকে কতজন হজে যেতে পারবেন। বয়স সীমা কত হবে, খরচ কত হবে, হজ চুক্তির আগে নিশ্চিতভাবে কোনো কিছু চূড়ান্ত বলা সম্ভব নয়।

মেলার আয়োজন প্রসঙ্গে শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে ৪র্থ হাজি প্রেরণকারী দেশ। ২০২৩ সালে আগের ধারাবাহিকতায় পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। হজ অনুষ্ঠানের অধিকাংশ বিষয়ে আইটি নির্ভরতা এবং মৌলিক বৈশিষ্ট্য অনেকাংশে পরিবর্তন হওয়ায় এর (হজ) সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে হজযাত্রীসহ বিভিন্ন এজেন্সিকে জানানো প্রয়োজন। এ কারণে হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সেমিনার থাকবে মেলায়। এই আয়োজনে সেমিনার, উদ্ভাবনী বিষয়ে প্রর্দশন করা হবে।

হাব সভাপতি বলেন, এই মেলা হজ ও ওমরাহ এজেন্সিগুলোর সঙ্গে হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হবে। ফলে মধ্যস্বত্বভোগী/ দালালদের দৌরাত্ম্য কমবে। এতে হজযাত্রীদের ভোগান্ওতি কমবে। হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনায় আইসিটি নির্ভরতা অতীতের চেয়ে ব্যাপক হারে বেড়েছে। হজ এজেন্সিগুলোকে বাংলাদেশ ও সৌদি পর্বের আইটি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সম্যক ধারণা ও হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

হাব জানিয়েছে, মেলায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রকে ছয়টি জোনে বিভক্ত করা হবে। আয়োজনস্থলে একটি আকর্ষণীয় বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন স্থাপন এবং হজ ব্যবস্থাপনায় বঙ্গবন্ধুর অবদানকে ডিজিটাল ডিসপ্লের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হবে। ইনোভেশন জোনে হজযাত্রী এবং ওমরাহ পালনকারীদের প্রদত্ত পরিষেবাগুলো আপগ্রেড করার জন্য সর্বশেষ উদ্ভাবনগুলো প্রদর্শন করা হবে।

প্রদর্শনী জোনে বিনিয়োগের সুযোগ, চুক্তি, চুক্তির বিষয়বস্তু, সম্মেলন ও প্রদর্শনী সম্পর্কিত বিষয় উপস্থাপন করা হবে। যোগাযোগ জোনে শিল্প পেশাদার, বিনিয়োগকারী এবং এজেন্সি/উদ্যোক্তাদের মধ্যে ব্যবসায়িক ম্যাচ মেকিংয়ের জন্য আয়োজন থাকবে। অর্জনের জোনে হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের সাফল্য এবং ভবিষ্যতের কর্মপন্থার ওপর আলোকপাত করা হবে। ট্রান্সফরমেশন জোনে দর্শকরা অতীতের হজ এবং ওমরাহ ভ্রমণের কথা এবং ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানতে পারবেন।

নয়াশতাব্দী/এমএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ