খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পাশাপাশি খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভবিষ্যৎ কৌশল প্রণয়নের ওপরও সরকার অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) বিকালে বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষ থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিউনেশিয়ার তিউনিসে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী ইসলামিক অর্গানাইজেশন অব ফুড সিকিউরিটি (আইওএফএস)’র পঞ্চম সাধারণ সম্মেলনের শেষ দিনে ‘কান্ট্রি ডিবেটে’ অংশ নিয়ে প্যানেল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন আইওএফএস’র চেয়ারম্যান ছাড়াও কান্ট্রি ডিবেটে সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাকিস্তান, তাজিকিস্তান এবং কাজাখস্তানের পক্ষ থেকে দেশগুলোর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা। এছাড়াও অনুষ্ঠানে ওআইসি, আইওএফএসভূক্ত সদস্য দেশ ও পর্যবেক্ষক দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি, গবেষক, সুশিল সমাজের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা ভার্চুয়ালি অংশ নেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, পৃথিবী এখন ইতিহাসের এক চরম সংকটকাল অতিক্রম করছে। কোভিড-১৯ মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে মানবজাতির সংকট বেড়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা এখন সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহামারিকালে সফলভাবে খাদ্য সংকট মোকাবিলা করেছে। বর্তমানের সংকট মোকাবিলায়ও সফল হবেন।
আইওএফএস সদস্য দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতা এবং অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, কোভিড-১৯ পরবর্তী পরিস্থিতি এবং বর্তমান ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে আইওএফএস মডেল হিসেবে নিজেদেরকে উপস্থাপন করতে পারে। এসময় কৃষি ও খাদ্য খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সদস্যদেশগুলোর মধ্যে আরও বেশি বিনিয়োগ, গবেষণা ও উদ্ভাবন বাড়ানোর আহ্বান জানান মন্ত্রী।
নয়াশতাব্দী/জেডআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ