ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মানসিক চাপে ৭৬ শতাংশ শিক্ষার্থী

প্রকাশনার সময়: ০৮ অক্টোবর ২০২২, ১৯:৫০
ছবি: সংগৃহীত

পড়াশোনার চাপ, হতাশা ও সেশনজটের কারণে মানসিক চাপে আছেন বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের প্রায় ৭৬ শতাংশ শিক্ষার্থী। করোনার সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পড়াশোনায় যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকে শিক্ষার্থীই।

শনিবার (০৮ অক্টোবর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে বেসরকারি সংস্থা আঁচল ফাউন্ডেশন। এর আগে ‘মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর একাডেমিক চাপের প্রভাব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার প্রবণতা’ শীর্ষক একটি জরিপ পরিচালনা করে সংস্থাটি।

জরিপে দেখা গেছে, ৭৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী বৈশ্বিক মহামারী করোনার পরবর্তী সময়ে পড়াশোনার চাপের কারণে বিভিন্ন ধরনের মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। ৪৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে করোনার আগের তুলনায় পড়াশোনার প্রতি মনযোগ কমেছে। ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থী ঘন ঘন পরীক্ষার সম্মুখীন হচ্ছেন। পরীক্ষার সময়ের চেয়ে সিলেবাসের আধিক্য সমস্যায় পড়েছেন ১২ দশমিক ৪৪ শতাংশ শিক্ষার্থী। ২০ দশমিক ৭৩ শতাংশ শিক্ষার্থী স্বল্প সময়ে বড় কোর্স শেষ করার ফলে পড়া বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছেন। ৬ দশমিক ৭১ শতাংশ পড়াশোনার চাপে পরিবারকে সময় দিতে পারছেন না।

করোনার কারণে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ভয় ও উদ্বেগ বেড়েছে। ৫৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে অতিরিক্ত ভয় ও উদ্বেগ তাদের জীবনকে প্রভাবিত করেছে।

এছাড়া, ইলেকট্রনিক ডিভাইসের প্রতি আসক্তির কারণে মানসিক সমস্যা বেড়েছে ৭০ দশমিক ৭৩ শিক্ষার্থীর। হঠাৎ চুপচাপ হয়ে যাওয়া, নিজেকে গুটিয়ে নেয়ার প্রবণতার ফলে শিক্ষাজীবন প্রভাবিত হয়েছে ৪৭ দশমিক ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থীর।

জরিপে অভিভাবকদের অযাচিত চাপের কথা জানিয়েছেন ৫৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। অ্যাকাডেমিক পড়াশোনার চাপের কথা জানিয়েছেন ৭৭ দশমিক ১ শতাংশ শিক্ষার্থী। ৭৬ দশমিক ৬ শতাংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছেন ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার নিয়ে দুশ্চিন্তা এবং অনিশ্চয়তার কথা।

দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ৬৩ দশমিক ৪১ শতাংশ শিক্ষার্থী বিভিন্ন মেয়াদে সেশনজটের শিকার হয়েছেন বলে জরিপে জানা গেছে।

২ দশমিক ৪৪ শতাংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, তারা আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। আত্মহত্যার উপকরণ জোগাড় করেও শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে আসার কথা জানিয়েছেন ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ শিক্ষার্থী। করোনা-পরবর্তী সময়ে আত্মহত্যার করার কথা মাথায় এসেছে ৩৪ দশমিক ১৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর।

জরিপে ৩৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, ৪৭ টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসা ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১ হাজার ৬৪০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে পুরুষ শিক্ষার্থী ৪৩.৯ শতাংশ ও নারী শিক্ষার্থী ৫৬.১ শতাংশ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ধরন বিবেচনায় জরিপে মোট অংশগ্রহণকারীর মাঝে ৬৭.৬৮ শতাংশ শিক্ষার্থী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের, ২৩. ৪১ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং ২.২৬ শতাংশ শিক্ষার্থী অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের।

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ