হেফাজতে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ ও নিরাপত্তা চেয়ে স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যায় অভিযুক্ত সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের করা দুটি মামলার আবেদনই খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছার আদালতে এই দুটি মামলার আবেদনের শুনানি করে খারিজ করে দেন।
এর আগে ৮ সেপ্টেম্বর কারাগারে থাকা বাবুলের পক্ষে তার আইনজীবী মামলা নেয়ার আবেদন করেছিলেন।
আবেদনে গত বছরের ১০ থেকে ১৭ মে পর্যন্ত বাবুলকে পিবিআই চট্টগ্রাম কার্যালয়ে হেফাজতে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ করা হয় এবং হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে মামলার আবেদন করা হয়।
মামলার আবেদনে বিবাদী করা হয়েছিল পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) বর্তমান প্রধান বনজ কুমার মজুমদার, পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার ইনচার্জ পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান, পিবিআইর মেট্রোর ইনচার্জ পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা, পিবিআইয়ের তৎকালীন পরিদর্শক ও বর্তমানে নগরের খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা, পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার সাবেক পরিদর্শক এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিম ও পিবিআই পরিদর্শক কাজী এনায়েত কবির।
এ প্রসঙ্গে মহানগর পিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, বাবুল আক্তারের মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। বাবুল আক্তার সাবেক পুলিশ সুপার। তাকে একজন পরিদর্শক নির্যাতন করার কোনও সুযোগ নেই। প্রায় ১ বছর ৫ মাস পরে এসে তিনি অভিযোগ করেছেন। বাবুল আক্তারকে এর আগে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়েছিল, তখন অভিযোগ করেননি। তিনি দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন আদালতে জামিন আবেদন করেছেন, তখনও কোনও আদালতে অভিযোগ করেননি।
ফখরুদ্দিন চৌধুরী আরো বলেন, মিতু হত্যা মামলায় চার্জশিট দেয়া হয়েছে। আদালত মনে করেছেন- মিতু হত্যা মামলার আসামি হিসেবে চলমান কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করার জন্য এই আবেদন করা হয়েছে।
এছাড়াও গত ১১ সেপ্টেম্বর একই আদালতে ফেনী কারাগারে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেন বাবুল। সেখানে বলা হয়, ফেনী কারাগারে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
আবেদনটি করার পর যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা বাবুলের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বলে অভিযোগ করা হয় এবং ১০ সেপ্টেম্বর ফেনী মডেল থানার ওসি ফেনী কারাগারে গিয়ে বাবুলের সেলে তল্লাশি চালান, যা কারাবিধিতে নেই। কারাগারে বাবুলের নিরাপত্তা জোরদার করতে ফেনীর জেল সুপারকে নির্দেশ দেয়ার জন্য আবেদনে বলা হয়েছিল।
এ প্রসঙ্গে বাবুল আক্তারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দীন বলেন, বাবুল আক্তার ন্যায়বিচার পাননি, আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ