ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের হাতিয়ার হিসেবে পুরো দেশকে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় আনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আগামী দিনের ডিজিটাল প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শহর-গ্রাম, নারী-পুরুষ প্রভৃতি ক্ষেত্রে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করার বিকল্প নেই। এই লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উদ্যোগ অপরিহার্য।
শনিবার (২৪ সেপ্টম্বর) ঢাকায় এক হোটেলে বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউট আয়োজিত শান্তি প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র প্রসারে প্রযুক্তির নিরাপদ ব্যবহার শীর্ষক ন্যাশনাল পলিসি ডায়ালগ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, সামনের দিন রোবটিক্স, এআই ও আইওটিসহ ডিজিটাল প্রযুক্তির দিন। শিশু থেকে বৃদ্ধ যেই হোক তাদের ডিজিটাল দক্ষতা দিতে হবে। আপনি আপনার সন্তানকে যদি ডিজিটাল যুগ থেকে পিছিয়ে রাখেন তবে সে পৃথিবী থেকে পিছিয়ে থাকবে। ডিজিটাল যুগের জন্য ইন্টারনেট অপরিহার্য। ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারে অজ্ঞতার কারণে অনেক ক্ষেত্রে অনেকে প্রতারিত হয়ে থাকেন।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, একটি ছুরি দিয়ে যেমন মানুষ হত্যা করা যায়, আবার জীবন রক্ষা করাও যায়। ডিজিটাল প্রযুক্তির ভালো খারাপ দুটি দিকই আছে। খারাপটি বর্জন করার পদ্ধতিও আছে, সেটি জানা থাকলে কোনো অবস্থাতেই ডিজিটাল প্রযুক্তির বিরূপ দিক রাষ্ট্র ব্যক্তি বা সমাজ জীবনকে প্রভাবিত করবে না। প্যারেন্টাল গাইডেন্স ব্যবহার করে অভিভাবকরা শিশুদের ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের বিরূপ দিকটিও নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
তিনি বলেন, এরইমধ্যে আমরা ২২ হাজার পর্নসাইট ও ৬ হাজার জুয়ার সাইট বন্ধ করেছি। ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের মাধ্যমে ক্ষতিকর উপাত্তগুলো অপসারণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।
নয়া শতাব্দী/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ