বাংলাদেশের সীমান্ত প্রাচীরে কয়েক দিন যাবত মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর গুলিবর্ষণ ও মর্টারশেল নিক্ষেপের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ জানিয়েছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান। বলেছেন, মিয়ানমার সরকারের সীমান্ত আইন লঙ্ঘনের পরিণতি শুভ হবে না। এ ধরনের ধৃষ্টতাপূর্ণ ঘটনা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের শামিল।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) ‘দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও করণীয়’ শীর্ষক জাগপার জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আবু মোজাফফর মো. আনাছ, আসাদুর রহমান খান, নিজামদ্দিন অমিত, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, ভিপি মুজিবুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানিয়া আক্তার রুপা, আশরাফুল ইসলাম হাসু, রিয়াজ রহমান প্রমুখ।
ব্যারিস্টার তাসমিয়া বলেন, মিয়ানমার সরকারের নির্যাতনের শিকার হয়ে অভিবাসন আইনে ১০ লাখের অধিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ ভূল করেনি! যদি রোহিঙ্গাদের আশ্রয়কে মিয়ানমার জান্তা সরকার দুর্বলতা মনে করে, তাহলে মনে রাখতে হবে তারা বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু হওয়ার যোগ্য নয়।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে জাগপা সভাপতি বলেন, লাখো শহীদদের রক্তে অর্জিত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব। কোনো ষড়যন্ত্রের একটি ইটের আঘাত বাংলার পবিত্র ভূখণ্ডের উপর পড়লে মনে রাখতে হবে শহীদদের হৃদয় যেন ভূকম্পিত হয়। মিয়ানমারকে বলেন, এই বাংলার মাটিতে পীর-আউলিয়া, মওলানা ভাসানী, শেখ মুজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান, শফিউল আলম প্রধানরা ঘুমিয়ে আছেন। একটু আঘাতের শব্দ দেশপ্রেমিক জনতার কানে আসলে প্রতিরোধের আঘাতে মিয়ানমারের সীমানা মুছে যাবে। এই ভূমির জনতা পিণ্ডির বিরুদ্ধে লড়েছে। দিল্লির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করছে। সুতরাং মিয়ানমারের পরিণতি ভালো হবে না।
নয়াশতাব্দী/জেডআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ