জ্বালানি তেলের দাম লিটারপ্রতি ৫ টাকা কমিয়েছে সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাসভাড়াও কমানো হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।
তিনি বলেন, সরকার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর বাসভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। এখন তেলের দাম লিটারে কমেছে ৫ টাকা। তাই বাসভাড়াও কমাতে পরিবহন মালিকদের আপত্তি নেই। এ নিয়ে শিগগির বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সঙ্গে বৈঠকে বসবো। ভাড়া কমাতে আপত্তি নেই আমাদের।
সোমবার (২৯ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর ঘোষণা দেয় বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।
নতুন দাম অনুযায়ী, ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার ডিজেল ১১৪ টাকা থেকে কমে ১০৯ টাকায় বিক্রি হবে। আর প্রতি লিটার কেরোসিন ১১৪ টাকা থেকে কমে বিক্রি হবে ১০৯ টাকায়, অকটেন ১৩৫ টাকা থেকে কমে ১৩০ টাকা এবং পেট্রল ১৩০ টাকা থেকে কমে ১২৫ টাকায় বিক্রি হবে। এ দাম কার্যকর হচ্ছে রাত ১২টার পর থেকে।
চলতি মাসের শুরুতে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে বাস বাড়া ১৬ থেকে ২২ শতাংশ বাড়ে। এখন দূরপাল্লার বাসে ভাড়া কিলোমিটারপ্রতি ২.২০ টাকা, মহানগর পর্যায়ে কিলোমিটারে বাসে ২.৫০ টাকা, মিনিবাসে ২.৪০ টাকা ভাড়া হবে।
এর আগে ভাড়া ছিল দূরপাল্লার বাসে ভাড়া কিলোমিটারপ্রতি ১.৮০ টাকা, মহানগর পর্যায়ে কিলোমিটারে বাসে ২.১৫ টাকা, মিনিবাসে ২.১০ টাকা। সর্বনিম্ন ভাড়া বাসে ১০ টাকা, মিনিবাসে ৮ টাকা। এতে বাস ভাড়া ১৬ থেকে ২২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকার ৬ বছর আগে ২০১৬ সালের এপ্রিলে ডিজেলের দাম ৩ টাকা কমিয়ে ৬৫ টাকা করে। তখন দাবি উঠলেও বাস ভাড়া কমেনি। বিআরটিএ থেকে বাস ভাড়া কিলোমিটারে ৩ পয়সার মতো কমানোর সিদ্ধান্ত আসে, যেটি আসলে প্রভাব পড়ার মতো নয়।
এবারও দাম কমানোর ব্যাপারে অনেকে শঙ্কা প্রকাশ করছেন। তবে জোর দাবি জানাচ্ছেন ভাড়া কমানোর। কারণ গত কয়েক মাসে শুধুমাত্র জ্বালানি তেলের অজুহাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ অধিকাংশ পণ্যের এবং সেবার মূল্য বেড়েছে। তাই পরিবহন ভাড়া কমানো জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ