দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ কষ্টে আছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সময় খুব কঠিন। সারা বিশ্বে সব কিছুর অভাব। বাংলাদেশের মানুষের কষ্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বোঝেন। আমরা এ অবস্থা থেকে উত্তরণে আপ্রাণ চেষ্টা করছি।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সোমবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, শুধু চালের দাম বাড়েনি, তেলের দাম, ডিজেলের দাম বাড়েনি। বাড়িয়ে কিন্তু আমরা ভর্তুকি দিচ্ছি। অন্তত আওয়ামী লীগ সরকার চায় না, শেখ হাসিনার সরকার চায় না আপনাদের কষ্ট দিতে। আমরা বাধ্য হয়েই তেলের দাম বাড়িয়েছি। একটা লঞ্চের মাঝে যখন ঝড় ওঠে তার মাঝি বোঝে যে যাত্রীরা ভীত। তার যাত্রীরা জীবন-মরণের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আমরা এই ঝড় পার করতে পারব ইনশাআল্লাহ।
বঙ্গবন্ধুর খুনিদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চলাকালে চারজনকে ধরা গেছে। এ সময় অন্যরা পলাতক ছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে শুনে তারা বিদেশে পালিয়ে গেছে। ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বঙ্গবন্ধুর খুনি মহিউদ্দিনকে ফেরত দেয়ার পর সর্বোচ্চ আদালতে রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
আইনমন্ত্রী বলেন, খুনি আজিজ পাশা বিদেশে মারা গেছে। নূর চৌধুরী ও রাশেদ চৌধুরীকে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়া হয়েছে। এখন আলোচনার মাধ্যমে তাদের দেশে আনার জন্য চেষ্টা চলছে। আমার বিশ্বাস আমরা তাকে আনতে পারব। খুনি ডালিম, খুনি রশিদ ও মোসলেম উদ্দিন তারা কোথায় আছে, সেটি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তারা জীবিত থাকলে তাদের খুঁজে বের করা হবে। ইঁদুরের গর্তেও তারা লুকিয়ে থাকতে পারবে না।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ