সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। এর মধ্যে মোটা চালের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৬ টাকা, আর চিকন চালের দাম বেড়েছে ১৫ টাকা পর্যন্ত। পাইকারি মোকামে বস্তাপ্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত চালের দাম বাড়িয়েছেন মিলাররা।
শনিবার (১৩ আগস্ট) সকালে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, মোটা চাল ৫০ থেকে বেড়ে ৫২ টাকা আর চিকন চাল ৭০ থেকে বেড়ে ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর খুচরা বাজারে সবচেয়ে মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা কেজিতে। আর মাঝারি মানের মোটা পাইজাম কিংবা স্বর্ণা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৭ থেকে ৫৮ টাকা কেজিতে। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির আগের দিনও এই চাল বিক্রি হয়েছে ৪৬-৪৮ টাকা ও ৫২ টাকা কেজিতে।
বিআর ২৮ ও ২৯ জাতীয় চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬২ টাকা কেজিতে। মিনিকেট ৭০ থেকে ৭৪ এবং নাজিরশাইল ৭৫ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অথচ এক সপ্তাহ আগেও বিআর-২৮ জাতীয় চাল ৫২ থেকে ৫৫ টাকা, মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছিল ৬৮ থেকে ৭২ এবং নাজিরশাইল ৭০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। এসব চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ১৫ টাকা করে। এ ছাড়া সব ধরনের পোলাও চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা।
এদিকে নওগাঁর পাইকারি মোকামে চলতি সপ্তাহেই দু-দফা বেড়েছে চালের দর। সবশেষ জ্বালানি তেলের দর বৃদ্ধিকে পুঁজি করে পাইকারি মোকামে বস্তাপ্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা দাম বাড়িয়েছেন মিলাররা। দফায় দফায় চালের দর বৃদ্ধিতে বেকায়দায় পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।
জ্বালানি তেলের বাড়তি দরে পরিবহনে খরচ বাড়ায় চালের দর বৃদ্ধি হয়েছে বলে জানিয়েছেন নওগাঁ মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফরহাদ হোসেন।
চালের আগেই দাম বেড়েছে সয়াবিন তেল, ডিম ও সবজির। এতে চরমভাবে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যআয়ের মানুষ
নয়া শতাব্দীা/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ