ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জনগণ জেগে উঠেছে, সরকারের পতন অনিবার্য: ফখরুল

প্রকাশনার সময়: ১২ আগস্ট ২০২২, ১৭:২৯

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, জনগণ জেগে উঠেছে, সরকারের পতন অনিবার্য। রাজপথ দখল করে জনতার সুনামিতে সরকার ভেসে যাবে। তিনি বলেন, সরকারের পতন অনিবার্য। তাই পেশাজীবীসহ সবাইকে রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জনতার যে ঢল নামবে, সমুদ্রে যে ঢেউ উঠবে, সেই ঢেউয়ের যে সুনামি সৃষ্টি হবে তাতে ভয়াবহ এ ফ্যাসিবাদী সরকার ভেসে যাবে।

শুক্রবার (১২ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, এটা দেশের জন্য। বিএনপির জন্য নয়, তারেক রহমান সাহেবের জন্য নয়, আমার জন্য নয়। এ দেশকে বাঁচানোর জন্য। আজকে আমার জাতি বিপন্ন হয়ে পড়েছে। আমার দেশের যে গণতান্ত্রিক আত্মা, সেই আত্মাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তাকে বাঁচানোর জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে হবে। আন্দোলন, আন্দোলন, আন্দোলন। আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে আমাদের রাজপথ দখল করে এদের সরাতে হবে। দেশকে সত্যিকার অর্থে একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে। আজকে জনগণ জেগে উঠেছে। এ সরকারের পতন অনিবার্য।

তিনি বলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, আমাদের দাবি খুব সামান্য। দাবিগুলো হলো- দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক রহমানসহ ৩৫ লাখ মানুষের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, এ সরকারকে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সংসদ বাতিল করতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে সেই কমিশনের পরিচালনায় নির্বাচন করে সত্যিকার অর্থেই জনগণের একটা সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই আমাদের লক্ষ্য ও দাবি। আসুন সেই দাবিতে আমরা সবাই এগিয়ে যাই।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, এই সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে। আপনারা দেখেছেন কীভাবে ব্যাংকগুলো খালি হয়ে যাচ্ছে, এত লুটপাট সব নিয়ে চলে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেও লুট হয়ে যায়। কিছুদিন আগে আমাদের সিঙ্গাপুর দেখাচ্ছিল, এই যে মেট্রো রেল হচ্ছে, বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর হয়ে যাচ্ছে, মালয়েশিয়া হয়ে যাচ্ছে আর এখন রিজার্ভ নামতে নামতে একেবারে নিচের দিকে নামা শুরু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শ্রীলঙ্কাকে বাহাদুরি দেখিয়ে আড়াই‘শ মিলিয়ন ডলার লোন দিল, এখন আপনার আইএমএফের কাছে, বিশ্ব ব্যাংকের কাছে, এডিবির কাছে আবার সেই লোন চাচ্ছেন। এরা চুরি করে ডাকাতি করে আমাদের দেশের সমস্ত সম্পদকে পাচার করেছে। আন্তর্জাতিক একটা প্রতিষ্ঠান বলছে যে, বাংলাদেশে প্রতিবছর ৮২৭ কোটি ডলার পাচার হয়।

নয়া শতাব্দী/এফআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ