আগামী মাস সেপ্টেম্বরের দিকে লোডশেডিং কমে আসবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ পরিস্থিতি আরো নিয়ন্ত্রিত ও লোডশেডিং কমিয়ে আনার চিন্তা ভাবনা চলছে। ব্যবসায়ীরা চাইলেও রাত ৮টার পর দোকান খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া সম্ভব হবে না।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) সকালে রাজধানীর বারিধারায় নিজ বাসায় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনেকের কাছ থেকে অফার পাচ্ছি জ্বালানি তেল কেনার বিষয়ে। তবে এখনো এ নিয়ে উপসংহারে আসিনি। এক মাস গেলে সব তথ্য বিশ্লেষণ করে বুঝতে পারব- কী হারে জ্বালানি সাশ্রয় হলো।
সরকারি কর্মকর্তারা গাড়ির অপব্যবহার করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
বিদ্যুতের দামের বিষয়ে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) সিদ্ধান্ত নেবে। এ ছাড়া জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দামও সমন্বয় হওয়া উচিত।
এর আগে বৃহস্পতিবার 'লেটস টক অন গ্রিন ট্রানজিশন' অনুষ্ঠানে জ্বালানির প্রসঙ্গে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) ট্রাস্টি এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, রাশিয়া গ্যাস সরবরাহ বন্ধের পর জার্মানি তার ২৫ শতাংশ গ্যাস বিতরণ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। বিকল্প জ্বালানি খুঁজছে সবাই। বিশেষত সামনের শীতের জন্য। একই অবস্থা যুক্তরাজ্যের।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ২০০৯ সালে ১২-১৩ ঘণ্টা লোডশেডিং থাকতো। সেখান থেকে সাময়িক সমস্যার জন্য এখন কয়েক ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। অর্থাৎ প্রাথমিক ধকল সামলে উঠেছি আমরা। ২০০৯ সালে আমরা স্বল্প, মধ্যম এবং দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি বিদ্যুৎ খাত নিয়ে। সম্প্রতি জাপানের সহায়তায় আমরা আরেকটি পরিকল্পনা করছি। যে কোনো প্রতিষ্ঠান বা বাসা-বাড়ি তাদের সোলার প্যানেল ব্যবহার করে জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত করলে মোট বিদ্যুৎ খরচ ২০ শতাংশ হ্রাস করতে পারে।
নয়া শতাব্দী/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ