এ বছরই সরকার হটানোর বছর। এ বছর হবে পরিবর্তনের বছর। এ বছর বর্তমান সরকারের শেষ বছর বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
শনিবার (৩০ জুলাই) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি আযোজিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আপনার পিতাও রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তারেক রহমানের পিতাও রাষ্ট্রপতি ছিলেন। আপনার মাতা গৃহিণী ছিলেন। আর তারেক সাহেবের মাতা এ দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। আপনি আপনার পিতার কথা সার্বক্ষণিক বলেন। তারেক রহমানও তো যোগ্য মায়ের যোগ্য সন্তান। আমরা তাকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দেব।
আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসার প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি নেতা বলেন, প্রথমে সেনাবাহিনীর ঘাড়ে চেপে এসেছিলেন, দ্বিতীয়বার তো ইলেকশনই হয়নি। ১৫৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেন। ২০১৮ সালে নির্বাচনের পর এমপি সাহেবের বউ, ছেলেরা প্রতিবেশীরা যদি তার দিকে তাকিয়ে একটু হাসে, তাহলেই সে ভাবে হয়তো আমার চুরি ধরা পড়ে গেছে, সবাই জেনে গেছে। এই এমপিদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, কাগজে বেরিয়েছে, বিদ্যুৎ না দিলেও ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হবে। বিদ্যুৎ দিবেন না ক্যাপাসিটি চার্জ কেন দেব? বিদ্যুৎও প্রি-পেইড করেছেন। আগে টাকা নিয়ে বিদ্যুৎ দিবেন না কেন? মাইরের ওপর ওষুধ নাই। পাকিস্তানিরা মার খেয়ে পালিয়েছে। আইয়ুব খানকে তাড়িয়েছি, এটা কোন খা যে তাড়াতে পারব না?
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আপনি বলেন আপনি পদ্মা সেতু বানিয়েছেন। এত বড় সাফল্য, তাহলে কেয়ারটেকার সরকার দিন না কেন? তাহলে ভোট দিচ্ছেন না কেন? কোথাও একটা কিন্তু আছে। রিকশাওয়ালা, ক্ষেতমজুর থেকে শুরু করে সবাই এটা জানে। কিছু মানুষ আছে পানি ঘোলা করে খায়, আপনিও দিবেন। বাংলাদেশের মানুষ এখন ধানের শীষের অনুকূলে আছে।
এ সময় মহানগর বিএনপির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আল ইউছুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান প্রমুখ।
নয়া শতাব্দী/এমএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ