মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

‘দেশে শতভাগ মানুষ বিদ্যুতের আওতায় এসেছে’

প্রকাশনার সময়: ২৯ জুলাই ২০২২, ২১:১৬

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে, তখন বিদ্যুৎ পেতো মাত্র ৪০ শতাংশ মানুষ আর এখন শতভাগ মানুষ বিদ্যুতের আওতায় এসেছে।

শুক্রবার (২৯ জুলাই) বিকেলে ঢাকায় বাংলা একাডেমিতে 'স্বনন' আয়োজিত আবৃত্তি অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।

আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের মূল্য দশগুণ বেড়েছে ও তেলের মূল্য রেকর্ড ছাড়িয়েছে ফলে বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলোও বিদ্যুৎ উৎপাদনে হিমশিম খাচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী এসময় বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে উন্নত দেশগুলোতে নেয়া ব্যবস্থার খতিয়ান তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, জ্বালানি সংকটের কারণে খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে জনগণকে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার আহবান জানানো হয়েছে। বিদ্যুৎ সংকটের আশংকায় জাপানে এবং ফ্রান্সেও জনগণের প্রতি একই আহবান জানানো হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানিতে কখনো বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়নি। সেখানেও এর সাশ্রয়ের জন্য বলা হয়েছে এবং অনেক শহরে পানি গরম করার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস ও সিডনিতে দুই ঘণ্টা করে লোডশেডিং করা হচ্ছে। আর ছয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ভারত।

তিনি আরও বলেন, যেসব দেশে এক সেকেন্ডের জন্যও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হতো না, সেসব দেশেও যখন বিদ্যুৎ সাশ্রয় ও রেশনিং করা হচ্ছে, বাংলাদেশেও সেই ব্যবস্থা নেয়া ও জনগণকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের আহবান জানানো হয়েছে। আমাদের দেশ তো পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো দ্বীপ নয়। কিন্তু এ নিয়ে বিএনপির হারিকেন নিয়ে মিছিলের ডাকে জনগণ এখন শংকিত যে তাদের হারিকেন থেকে পেট্রোলবোমা বের হয় কি না। আর কানসাটে বিদ্যুৎ দাবিকারী কৃষকদের যারা গুলি করেছিল, বিদ্যুৎ না দিয়ে তারেক রহমানের কোম্পানি বিভিন্ন জায়গায় শুধু খাম্বা বসিয়েছিল, তাই বিদ্যুৎ নিয়ে তাদের কথা বলার নৈতিক অধিকারই নেই।

সরকারের প্রতি বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্য 'চা-টা খাওয়ার দাওয়াত নয়, পদত্যাগ করুন' এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার মহানুভবতা দেখিয়ে বলেছিলেন বিএনপির মিছিল-সমাবেশে বাধা না দিতে এবং মিছিল নিয়ে তারা যদি গণভবনেও যায়, তিনি তাদের চা খাওয়াবেন। কিন্তু মির্জা ফখরুল সাহেবরা যারা প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতা বোঝে না, যাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রীর দাওয়াতের অশোভন জবাব দেয়, যারা দাওয়াতের মর্যাদা বোঝে না, তাদের দাওয়াত দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।

বিশেষ অতিথি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার আয়োজকদের প্রশংসা করেন এবং এ ধরনের উদ্যোগ বৃদ্ধির আহবান জানান। ডা. চক্রেশ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন আবৃত্তিশিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

নয়া শতাব্দী/এমএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ