বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এ সরকারকে আর কোনো সুযোগ দেওয়া যাবে না। এরা থাকলেই বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দেবে।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিদ্যুতের লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ খাতের অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আপনাদের কাছে আহ্বান, আর সময় নেই। এখন জেগে উঠতে হবে। এই ভয়াবহ ফ্যাসিবাদী, ভয়ঙ্কর দুর্নীতিবাজ সরকারকে কি করতে হবে, একটা ধাক্কা দিতে হবে। দড়ি ধরে মারো টান, রাজা হবে খান খান। আসুন আমরা সবাই মানুষকে জাগিয়ে তুলি। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এ ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটাই।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে আটক করে রেখেছে। তাকে চিকিৎসারও সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে নির্বাসিত করে রেখেছে। দলের ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতি মুহূর্তে তাদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে। আমরা কি আরও সহ্য করবো? আমরা কি এদেরকে আরও সময় দেব? আওয়ামী লীগের পতন ঘণ্টা বাজতে শুরু করেছে। এখন বিদ্যুৎ, এরপরে জ্বালানি তেল, এরপর রিজার্ভ শেষ হচ্ছে, দ্রব্যমূল্য আকাশচুম্বী, তাই এখন আর কোনো কথা নেই। তাই এখন একটাই কথা, ‘একদফা এক দাবি, শেখ হাসিনা তুই কবে যাবি’।
প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে ফখরুল আরও বলেন, এ মুহূর্তে পদত্যাগ করুন। নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। সংসদ বাতিল করুন। একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করে জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিন।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, যুবদলের শফিকুল ইসলাম মিল্টন, জাহাঙ্গীর হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহীম, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবন, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।
নয়া শতাব্দী/এমএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ