বর্তমান প্রেক্ষাপটে অবৈধভাবে কেউ ডলার মজুত করলে অথবা অবৈধভাবে জাল ডলার তৈরির চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) হারুন অর রশিদ।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান ডিবি প্রধান।
সংবাদ সম্মেলনে ডিবি প্রধান বলেন, ঢাকা শহরে ডিবির বিভিন্ন টিম বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে কাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে মোহাম্মদপুর থানার চাদঁ উদ্যান হাউজিং এলাকার ৪ নাম্বার রোডের ১১ নাম্বার বাসার একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ জাল টাকা ও জাল টাকা তৈরির সরঞ্জামাদিসহ চক্রের মূলহোতা হুমায়ন কবিরকে গ্রেফতার করা হয়। হুমায়নের নেতৃত্বেই মূলত চক্রটি এই বিপুল পরিমাণ জাল টাকা তৈরি করে। গত রমজানের ঈদের আগেও লালবাগে জাল নোট তৈরির কারখানা থেকে অনেক জাল নোট এবং মেশিনপত্র উদ্ধার করেছিল ডিবি লালবাগ বিভাগ।
গ্রেফতারকৃত হলেন, মো: হুমায়ন কবির। গ্রেফতারের সময় তার হেফাজত থেকে ১৬ লাখ জাল টাকা, জাল টাকা তৈরির কাজে ব্যবহৃত ১টি ল্যাপটপ, ১টি প্রিন্টার, ১টি লেমিনেটিং মেশিন, ১কৌটা পেস্টিং গাম, ৩ টি টাকা তৈরির ডাইস, ২ বান্ডেল ফয়েল পেপার, ২ প্যাকেট টাকা তৈরির কাগজ, ১টি কাটার ও ২ টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, অনেক দিন থেকেই তারা এই ব্যবসাটা করে আসছে। প্রতি মাসে ৬০ লাখ জাল টাকা তারা তৈরি করে। সারা দেশে ৪/৫টা নিয়ন্ত্রণ গ্রুপের মাধ্যমে এই নকল টাকা তারা ছড়িয়ে থাকে। প্রতি এক লাখ নকল টাকায় কারখানার মালিক পায় ১০ হাজার টাকা।
তিনি আরো বলেন, তারা মূলত ঈদকে টার্গেট করে এই জাল টাকা তৈরি করে থাকে। তবে আমরা দেখতে পাচ্ছি আসন্ন পূজাকে কেন্দ্র করে মাসে ৬০ লাখ টাকা রোলিং করার টার্গেটে এখন থেকেই তারা কাজ শুরু করেছে।
অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, গ্রেফতারকৃত হুমায়ন তার ভাড়া বাসাকে জাল টাকা তৈরির কারখানা হিসেবে ব্যবহার করতো। ঈদ বা পূজার সময় ব্যাংকে যখন অত্যাধিক ভিড় হয় সেই ভিড়ের মধ্যে তারা ব্যাংকের কিছু অসাধু কর্মকর্তার মাধ্যমে জাল টাকার একটা বড় অংশ জমা করতো মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। ঢাকা শহরের আরো কোথাও এধরনের জাল টাকা তৈরির কারখানা আছে কি না সেটা আমরা তদন্ত করছি। এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত হুমায়নের বিরুদ্ধে জাল টাকা তৈরির ৪টি মামলা রয়েছে। এবার মোহাম্মদপুর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা রুজু হওয়ায় আরো একটি মামলা যুক্ত হলো।
ডিএমপির গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার কাজী শফিকুল আলম, বিপিএম-সেবা এর নির্দেশনায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আছমা আরা জাহানের তত্ত্বাবধানে বিমানবন্দর জোনাল টিমের টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ কায়সার রিজভী কোরায়েশেী, পিপিএম-সেবা এর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ