ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘কৌশলে ফাঁদে ফেলে মানুষের অর্থ অর্জন করাই পরীমনির পেশা’

প্রকাশনার সময়: ১৮ জুলাই ২০২২, ১৭:১৫

মারধর, হত্যাচেষ্টা, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে নায়িকা পরীমনির নামে সাভার বোট ক্লাবের পরিচালক নাসির উদ্দিন মাহমুদের মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সোমবার (১৮ জুলাই) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হাসান এই আদেশ দেন। মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৬ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল এ তথ্য জানান।

এক বছর আগে পরীমনি একই ঘটনায় নাসিরের নামে মারধর ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। সেই মামলার বিচার এখন চলমান। গত ৬ জুলাই একই আদালতে নাসির উদ্দিন মাহমুদ এই মামলার আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ১৮ জুলাই এ বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য করেন। মামলায় পরীমনি ছাড়াও তার দুই সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমিকে আসামি করার আর্জি জানানো হয়েছে।

মামলার অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ বলেন, পরীমনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। কৌশলে ফাঁদে ফেলে মানুষের অর্থ সম্পদ অর্জন করাই তার পেশা। এছাড়াও সুযোগ বুঝে বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে প্রবেশ করে অ্যালকোহল পান করে ও পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ না করে বিশৃঙ্খলা করে। উল্টো ক্লাবের স্টাফদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির ভয় দেখায় পরীমনি। তিনি একজন চলচ্চিত্র নায়িকা ও প্রভাবশালী হওয়ায় কোন ক্লাব কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে মামলা করার সাহস করে না। কেউ কেউ শুধুমাত্র জিডি করেছে।

মামলায় নাসিরউদ্দিন উল্লেখ করেন, পরীমনি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহল পানে অভ্যস্ত। তারা সুযোগ বুঝে বিভিন্ন নামীদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমনি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করিয়ে হয়রানির ভয় দেখান। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে প্রবেশ করেন এবং দ্বিতীয় তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন।

এতে আরও বলা হয়, বাদী (নাসির উদ্দিন মাহমুদ) ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত ১টা ১৫ মিনিটে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে নাসিরকে ডাক দেন। তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসারও অনুরোধ করেন। এক পর্যায়ে পরীমনি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসিরকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি অ্যালকোহলের বোতল বিনা মূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য চাপ দেন। নাসির উদ্দিন এতে রাজি না হওয়ায় পরীমনি তাকে গালমন্দ করেন। নাসির ও আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে পরীমনি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন।

বাদী মামলায় আরও উল্লেখ করেন, পরীমনি ও তার সহযোগীরা তাকে (নাসির উদ্দিনকে) মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও বোট ক্লাবে ভাঙচুর করেছেন। এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমনি সাভার থানায় বাদী নাসির উদ্দিনসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলে মামলা করেন।

নয়াশতাব্দী/জেডআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ