দেশে আগামী মাসে (আগস্টে) আরেকটি বন্যা হতে পারে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে কৃষিখাতে সরকারি বেসরকারি অংশিদারিত্ব (পিপিপি) নিয়ে পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময়ি তিনি বলেন, ‘দেশের কৃষি প্রকৃতিনির্ভর এবং কৃষি সবসময়ই বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকে। সাম্প্রতিক বন্যায় সিলেট, সুনামগঞ্জসহ ১২টি জেলায় ফসলের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আগস্টে আরেকটি ভয়াবহ বন্যার পূর্বাভাস রয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছে, এটি একটি রুটিন কাজ। আমরা ব্যাপক পুনর্বাসন কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। একইসাথে, নাবী জাতের (লেইট ভ্যারাইটি) ধান চাষে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, কৃষিতে বন্যা, খরা, সাইক্লোনসহ যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সার্বক্ষণিক প্রস্তুতি রয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষিতে সরকারের এখন মূল লক্ষ্য হলো কৃষিকে সত্যিকার অর্থে বাণিজ্যিকীকরণ করা, যাতে কৃষকের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটে। সেলক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। তবে এক্ষেত্রে বেসরকারি শিল্পোদ্যোক্তাদেরও সহযোগিতা প্রয়োজন। বিশেষ করে কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ ও যান্ত্রিকীকরণে বেসরকারি শিল্পোদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। কৃষিযন্ত্র অনেক ব্যয়বহুল, ৯০ শতাংশ যন্ত্র আমদানিনির্ভর। এসব কৃষিযন্ত্র আমরা দেশে উৎপাদন করতে চাই। পিপিপি এখানে বিরাট ভূমিকা রাখতে পারবে।
বেসরকারি শিল্পোদ্যোক্তারা এগিয়ে আসলে তাদেরকে প্রযুক্তিগত, অর্থনৈতিক, পলিসিসহ সকল বিষয়ে সহযোগিতা প্রদান করা হবে বলে জানান মন্ত্রী। এছাড়া, বর্তমানে ডাল, তেলসহ যেসব কৃষিপণ্য আমদানি করতে হয়, তা উৎপাদনে ৪ সতাংশ সুদে ঋণ দেয়া হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে সকল কৃষিপণ্যে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দেয়ার প্রচেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী বলেন, চাল আমদানির ফলে কৃষকদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই। ‘বাজার স্থিতিশীল রাখতেই সরকার চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে।
তিনি বলেন, চাল আমদানির আমাদের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টার্গেট আছে। সেই পরিমাণ চাল দেশে এসে গেলে আমদানি বন্ধ করে দেয়া হবে। আমরা প্রতিদিনই নিবিড়ভাবে বাজার মনিটর করছি। এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং কৃষি মন্ত্রণালয় একত্রে কাজ করছে। কাজেই চাল আমদানির ফলে দেশীয় কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই।
কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংস্থা প্রধান এবং কৃষি-শিল্প উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ